বিডিমর্নিং ডেস্কঃ অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যায় কক্সবাজারের তৎকালীন এসপি এ বি এম মাসুদুর রহমানের উদাসীনতা ও গাফিলতি ছিল বলে প্রমাণ পেয়েছে তদন্তকারী কর্মকর্তা। এই কারণে এসপি মাসুদের বিষয়ে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ।
রবিবার (১৩ ডিসেম্বর) কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা সিনহা হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ। তার নির্দেশেই এসআই লিয়াকত সিনহাকে গুলি করে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-১৫ তে দায়িত্বরত সহকারী পুলিশ সুপার মো. খায়রুল ইসলাম রবিবার সকালে কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম তামান্না ফারার আদালতে এ অভিযোগপত্র জমা দেন। এ মামলায় গ্রেপ্তার ১৪ জন আসামি ছাড়াও আরও একজনকে অভিযোগপত্রে আসামি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের মারিশবুনিয়া পাহাড়ে ভিডিও চিত্র ধারণ করে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে কক্সবাজারের হিমছড়ি এলাকার নীলিমা রিসোর্টে ফেরার পথে টেকনাফ শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ। এ সময় পুলিশ সিনহার সঙ্গে থাকা সহযোগী সিফাতকে আটক করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। পরে রিসোর্ট থেকে শিপ্রাকে আটক করা হয়।