Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৮ বৃহস্পতিবার, মে ২০২৫ | ২৫ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

গৃহবধূকে যৌনকর্মী বানানোর অভিযোগে ওসি-এসআই আটক

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৩ ডিসেম্বর ২০২০, ১০:৩৬ PM
আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২০, ১০:৩৬ PM

bdmorning Image Preview


বগুড়ার শিবগঞ্জে এক গৃহবধূর ধর্ষণচেষ্টার মামলা না নিয়ে পাল্টা যৌনকর্মী হিসেবে আদালতে চালান দেয়ায় শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও এসআইয়ের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।রোববার (১৩ ডিসেম্বর) বগুড়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলাটি করেন শিবগঞ্জ উপজেলার জান গ্রামের নুর ইসলামের স্ত্রী ছাবিনা বেগম। মামলায় আসামি করা হয়েছে শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম বদিউজ্জামান ও এসআই রতন কুমারকে। 

বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে একজন প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটকে দিয়ে তদন্তের জন্য বগুড়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দেন।মামলা সূত্রে জানা গেছে, সিহালী ফকিরপাড়া গ্রামের আবদুর রশিদের ছেলে কলেজছাত্র রামিম হাসান রিমনের সঙ্গে বাদীর মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। রিমনের পরিবার রাজি না থাকায় বাদী তার মেয়েকে অন্যত্র বিয়ে দেয়। বিয়ের পরও রিমন বাদীর মেয়ের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ অব্যাহত রাখে। স্বামী বাড়িতে না থাকায় রিমন গত ২৪ নভেম্বর দুপুরে বাদীর মেয়ের বাড়িতে ঢুকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় পিরব ইউপি সদস্য আবুল কাশেম বাড়িতে ঢুকে রিমন ও বাদীর মেয়েকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। পরে শিবগঞ্জ থানার ওসি এস এম বদিউজ্জামান ও এসআই রতন কুমার রায় দুজনকে আটক করে নিয়ে যায়। থানায় রিমনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার মামলা করতে চাইলে পুলিশ তা নেয়নি। পরে দুজনকে দণ্ডবিধির ২৯০ ধারায় মামলা দিয়ে (পতিতাবৃত্তি) আদালতে চালান দেয়া হয়।

পরে আদালত দুজনকে জামিনে ছেড়ে দেন।বাদীর অভিযোগ ‘এসআই রতন কুমার রায় ১০ হাজার টাকা নেয়ার পরও ধর্ষণচেষ্টার মামলা না নিয়ে তার মেয়েকে পতিতা হিসেবে চালান দিয়ে সম্মান নষ্ট করেছেন। এ কারণে মেয়েকে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনও গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানান।’বাদীর আইনজীবী আব্দুল বাছেদ জানান, ২০১৩ সালের নির্যাতন ও হেফাজত মৃত্যু নিবারণ আইনের ১৩ ও১৫ ধারা অনুযায়ী নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

Bootstrap Image Preview