বিডিমর্নিং ডেস্কঃ গত ১ নভেম্বর রাতে কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউপি চেয়ারম্যান ৯ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বিয়ে করেন। যদিও চেয়ারম্যান আবু তালেবের তার বাল্যবিয়ের বিষয়টি উড়িয়ে দেন। তার দাবি ছিল ওই সময় কনের বয়স ছিল ২০। এটি কোনোভাবে বাল্য বিয়ে নয়। তবে বাল্যবিয়ের ঘটনা তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় আলোচিত সেই চেয়ারম্যানকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
বুধবার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. আবু জাফর রিপন স্বাক্ষরিত একটি প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্ত জানা গেছে।
প্রজ্ঞাপনে জানা যায়, কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু তালেব বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন-২০১৭ অমান্য করে জনৈক বর্ণিতা ওসমান বর্নিকে জন্ম তারিখ পরিবর্তন করে বিয়ে করার অভিযোগ স্থানীয় তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে।
এরপর জেলা প্রশাসক কুড়িগ্রাম,স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ এর ৩৪(১) অনুযায়ী উল্লেখিত ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছেন। চেয়ারম্যান আবু তালেব কর্তৃক সংগঠিত অপরাধমূলক কার্যক্রমের প্রেক্ষিতে তার দ্বারা ইউনিয়ন পরিষদে ক্ষমতা প্রয়োগ প্রশাসনিক দৃষ্টিতে সমীচীন নয় মর্মে সরকার মনে করে। বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন-২০১৭ অমান্য করার অভিযোগে স্বীয় পদ হতে চেয়ারম্যানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।
এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান আবু তালেব বলেন,আমি এখনও আদেশের কাগজ পাইনি। তবে তিনি আবারো দাবি করেন আমার প্রথম স্ত্রী দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে অসুস্থ থাকায় আমি উভয় পরিবারের সম্মতিতে তাকে বিয়ে করেছি। এটি আমার দ্বিতীয় বিয়ে। মেয়ে পক্ষ আমাকে বয়স প্রমাণের জন্য যে কাগজ দিয়েছে আমি সেই প্রেক্ষিতে বিয়ে করেছি। চেয়ারম্যানের সাময়িক বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উলিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর এ জান্নাত রুমি।