Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৩ শুক্রবার, মে ২০২৫ | ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

কাপাসিয়ায় প্রবাসীর স্ত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ৭

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৮ ডিসেম্বর ২০২০, ১০:২৪ PM
আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০২০, ১০:২৪ PM

bdmorning Image Preview
ছবি: সংগৃহীত


গাজীপুরের কাপাসিয়ায় এক প্রবাসীর স্ত্রীকে ডেকে নিয়ে গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

বৃহস্পতিবার  (১৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে উপজেলার তরগাঁও এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে এ ঘটনায় ভিক্টিমের মা বাদী হয়ে কাপাসিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

গ্রেপ্তাররা হলো - কাপাসিয়া উপজেলার তরগাঁও পূর্বপাড়া গ্রামের মো. মোস্তফা বেপারীর ছেলে রোমান বেপারী (২০), তরগাঁও এলাকার মো. মহসিন বেপারীর ছেলে মো. জুবায়ের বেপারী (২০), একই এলাকার মফিজ সরদারের ছেলে মো. মোরসালিন সরদার (২১), তরগাঁও এলাকার এহসান বেপারীর ছেলে মো. সাহাবুল হোসেন সাকিব (২২), তরগাঁও বোয়ালের টেক এলাকার মৃত সফুর উদ্দিনের ছেলে মাসুম শেখ (২১), একই এলাকার শামসুল হক ভূঁইয়ার ছেলে রাকিব হোসেন (২০) ও বাদল মোড়লের ছেলে মাহফুজুল হক (২০)।

তবে মামলার প্রধান আসামি করিহাতা ইউনিয়নের চর খামের গ্রামের আইন উদ্দিনের ছেলে সাখাওয়াত হোসেন (২৮) এখনও পলাতক। 

কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) মো. আফজাল হোসেন জানান, প্রবাসীর স্ত্রী ও এক সন্তানের জননী নরসিংদী জেলার মনোহরদী এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে বসবাস করেন। আসামি সাখাওয়াত হোসেন ভিক্টিমের পূর্ব পরিচিত। মোবাইল ফোনেই প্রথম তাদের পরিচয় হয়। 

তিনি জানান, গত ১৬ ডিসেম্বর প্রবাসীর স্ত্রী শ্বশুরবাড়ি থেকে কাপাসিয়া উপজেলার তরগাঁও এলাকায় মায়ের বাড়িতে বেড়াতে যান। পরদিন ১৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে সাখাওয়াত হোসেন ভিক্টিমকে একটি মোবাইল ফোন দেওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সাখাওয়াত অন্যান্য আসামিরা কৌশলে ভিক্টিমকে তরগাঁও এলাকার নবীপুর নর্দারটেকে নিয়ে একটি কড়ইগাছের তালায় তাকে ধর্ষণ করে। পরে আসামিরা গৃহবধূকে আটকে রেখে তার মায়ের মোবাইল নম্বরে ফোন করে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে তাকে হত্যা করা হবে বলে জানায়।

এ খবর শুনে ভিক্টিমের মা কাপাসিয়া থানায় গিয়ে পুলিশকে জানান। পরে পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে গৃহবধূকে উদ্ধার এবং মামলার সাত আসামিকে গ্রেপ্তার করে।

শুক্রবার দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ভিক্টিমকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

Bootstrap Image Preview