Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৮ বৃহস্পতিবার, মে ২০২৫ | ২৫ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

ছেলেকে হত্যার ১০ বছর পর মা ও পরকীয়া প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ড

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২০ ডিসেম্বর ২০২০, ০২:২৮ PM
আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০২০, ০২:২৮ PM

bdmorning Image Preview
ছবিঃ সংগৃহীত


বিডিমর্নিং ডেস্কঃ রাজধানীর মোহাম্মদপুরের নবোদয় হাউজিংয়ে খন্দকার সামিউল আজিম ওয়াফি (৫) হত্যায় তার মা আয়েশা হুমায়রা এশা ও তার প্রেমিক শামসুজ্জামান আরিফ ওরফে বাক্কুর মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও তাদের প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

আজ রবিবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এই রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা উপস্থিত না থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। গত ৮ ডিসেম্বর মামলাটির রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে সেদিন রায় প্রস্তুত না হওয়ায় বিচারক আজকের দিন ধার্য করেন।

২০১০ সালের ২৩ জুন রাজধানীর আদাবরে পরকীয়া প্রেমিক শামসুজ্জামান আরিফ ওরফে বাক্কুর সঙ্গে মায়ের অনৈতিক কোনও ঘটনা দেখে ফেলায় ওয়াফিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। পরে মরদেহ ফ্রিজে লুকিয়ে রাখা হয়। মরদেহটি বস্তায় ঢুকিয়ে পরদিন ২৪ জুন রাস্তায় ফেলে দেয়া হয়। এরপর একইদিন আদাবরের নবোদয় হাউজিং এলাকা থেকে সামিউলের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সামিউলের বাবা কে এ আজম বাদী হয়ে আদাবর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

২০১২ সালের ২৫ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদাবর থানার ওসি কাজী শাহান হক ওয়াফিরর মা এশা ও বাক্কুর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এ পর্যন্ত ২২ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে মামলায়। এতে এশা ও বাক্কু হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়ে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন আদালতে।

মামলায় এশা জামিনে ছিলেন। গেল ৮ ডিসেম্বর তিনি হাজির না হওয়ায় আদালত তার জামিন বাতিল করেন। বাক্কু হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে পলাতক ছিলেন। বর্তমানে তারা দুজনেই পলাতক।

Bootstrap Image Preview