Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০১ বৃহস্পতিবার, মে ২০২৫ | ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

শ্বশুর-বউমার গোপনে বিয়ে, লজ্জায় মুখ দেখাতে পারছে না প্রবাসী স্বামী

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৩ ডিসেম্বর ২০২০, ০২:৫৬ PM
আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০২০, ০২:৫৬ PM

bdmorning Image Preview
প্রতীকী ছবি


বিডিমর্নিং ডেস্কঃ ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বৈডাঙ্গা গ্রামে প্রবাসী কবিরের স্ত্রী তহুরা (৫৫) তিন সন্তানের জননী। কবির প্রবাসে থাকার সময় একই গ্রামের সিরাজুল ইসলাম শিরনের (৬০) সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে তহুরার। গোপনে তারা বিয়ে করে। অথচ সম্পর্কে তারা শ্বশুর-বউমা।

বিয়ের পর বিদেশ থেকে স্বামী কবিরের পাঠানো টাকা পয়সা ও স্বর্ণলংকার কৌশলে হাতিয়ে নিতে থাকে শিরন। কবির দেশে ফিরেও জানতে পারে না স্ত্রীর এসব অপকর্ম। পরে তাদের গোপন অভিসার ধরা পড়ে। জানাজানি হয় শিরনের সঙ্গে নিজ স্ত্রীর বিয়ে ও দৈহিক সম্পর্কের কথা।

এ সময় শিরণ জানায়, দীর্ঘ পাঁচ বছর আগে গোপনে তাদের বিয়ে হয়েছে। তারা বৈধ স্বামী-স্ত্রী। স্ত্রী তহুরার এই কথা যখন জানাজানি হয়, তখন কবিরের সব কিছুই শেষ। সব হারিয়ে এখন পাগল কবির। মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে বিচারের আশায়।

জানা গেছে, বৈডাঙ্গা গ্রামের মৃত হাসেম আলীর ছেলে কবির বিদেশে থাকার সময় একই গ্রামের মৃত নোয়াব আলীর ছেলে সিরাজুল ইসলাম শিরন কবিরের বাড়ীতে যাতায়াত করতো। এই সুযোগে কবিরের স্ত্রী তহুরা খাতুনের সাথে টাকা পয়সা লেনদেন করতে থাকে। সম্পর্কে তারা শ্বশুর-বউমা হলেও দুজনার মাঝে গভীর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরস্ত্রীর সঙ্গে চুটিয়ে প্রেম করার সুযোগ নিয়ে প্রবাসি কবিরের পাঠানো টাকা হাতিয়ে নিতে থাকে শিরন।

কবির ২০১৮ সালে দেশে ফিরে এলেও স্ত্রী তহুরা তার সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক বজায় রেখে চলে। এক সঙ্গে দুই স্বামীর ঘর করতে থাকে তহুরা। গত ১৫ ডিসেম্বর শিরনের সাথে তহুরার দৈহিক সম্পর্কের কথা জানাজানি হলে শিরন-তহুরা প্রকাশ্যে ঘোষণা দেয় তারা ২০১৫ সালে গোপনে বিয়ে করেছে।

শিরন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তহুরাকে আমি ভালবাসতাম । এজন্য সমাজের সবাই তাকে নির্যাতন করতো, নানা কথা বলতো তাই আমি তাকে বিয়ে করেছি।

তহুরা বেগম বলেন, যা শুনেছেন সবই সত্য। আমরা দু’জন দু’জনকে ভালোবেসে বিয়ে করেছি। স্বামী কবিরের দোষারোপ করে বলেন, ওর কি আছে যে ওর সাথে থাকবো। ও আমাকে শুধু কষ্ট দেয়। সুখ দিতে পারে না।

এদিকে ভুক্তভোগি কবির বলেন, ২০ বছরের সংসার জীবনে আমার তিনটি মেয়ে সন্তান আছে। ১৫ বছর বিদেশ খেটে টাকা দিয়েছি। ৬ বছর আগে অন্যের সাথে বিয়ে করেও আমার ঘরে আছে। আমার অর্থ সম্পদ সব লুটে নিয়ে গেছে। আমি এখন সমাজে বের হতে পারি না। আমার সবকিছু শেষ।

Bootstrap Image Preview