দেওয়াবানবাগের পীর মাহবুব এ খোদা দেওয়ানবাগীকে এ যুগের ‘ফেরাউন’ মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা হেফাজতে ইসলামের আমীর মাওলানা আবদুল আউয়াল। তিনি বলেছেন, আদি যুগে ফেরাউনের পতন হয়েছে। আর এ যুগের ফেরাউন হলো দেওয়ানবাগী যে নিজেকে খোদা (নাউজুবিল্লাহ) বলে হাজার হাজার মানুষকে বিভ্রান্ত করেছে, বিপথে নিয়েছে। তাই এসব লোক ও তথাকথিত পীর হতে দূরে থাকা প্রয়োজন।
১৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৭ সালে শুক্রবার দুপুরে জুমআর নামাজের খুতবায় আবদুল আউয়াল এসব কথা বলেন। তিনি শহরের অন্যতম বৃহৎ জামে মসজিদ ডিআইটি কেন্দ্রীয় রেলওয়ে জামে মসজিদের খতিব।
এদিকে আজ সকাল পৌনে সাতটার দিকে দেওয়ানবাগ দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা ও স্বত্বাধিকারী সৈয়দ মাহবুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী নিজ বাসায় স্ট্রোক করেন। পরে ইউনাইটেড হাসাপাতালে নিলে ডাক্তার তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃতদেহ আরামবাগে নেয়া হয়েছে। মরহুমের পরিবারসূত্র গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি দেওয়ানবাগ শরীফের ফেসবুক পেজেও নিশ্চিত করা হয়েছে।
দেওয়ানবাগ দরবার শরিফের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্যানুযায়ী, দেওয়ানবাগী পীরের নাম মাহবুব-এ খোদা। তবে তিনি 'দেওয়ানবাগী' নামে পরিচিত। ১৯৪৯ সালের ১৪ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম সৈয়দ আবদুর রশিদ সরদার। মা সৈয়দা জোবেদা খাতুন। ছয় ভাই দুই বোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট। নিজ এলাকার তালশহর কারিমিয়া আলিয়া মাদরাসা থেকে ফাজিল পর্যন্ত পড়াশুনা করেন।
ফরিদপুরে চন্দ্রপাড়া দরবারের প্রতিষ্ঠাতা আবুল ফজল সুলতান আহমেদ চন্দ্রপুরীর হাতে বায়াত গ্রহণ করেন দেওয়ানবাগী পীর। এরপর তার মেয়ে হামিদা বেগমকে বিয়ে করেন দেওয়ানবাগী। এর সুবাদে শ্বশুরের কাছ থেকে খেলাফত লাভ করেন।
তার কিছু দিন পর নিজেই নারায়ণগঞ্জে দেওয়ানবাগ নামক স্থানে একটি আস্তানা গড়ে তোলেন এবং নিজেকে সুফি সম্রাট পরিচয় দিতে থাকেন মাহবুব-এ খোদা। আস্তে আস্তে তার অনুসারি বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে মতিঝিলের ১৪৭ আরামবাগে স্থায়ী দরবার গড়ে কার্যক্রম পরিচালনা করছেন দেওয়ানবাগী।