বিডিমর্নিং ডেস্কঃ দুই তিন দিন আগেই স্ত্রী সুলতানা আক্তার শান্তাকে (২২) হত্যা করেছেন স্কুল শিক্ষক স্বামী। লাশ যাতে না পচে সেজন্য মরদেহে লবণ মাখেন তিনি। এরপর চিকিৎসার নামে হাসপাতালে স্ত্রীর লাশ ফেলে পালিয়ে যাওয়ার সময় আটক করা হয় তাকে।
গত মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে এ ঘটনায় পুলিশ বন্দর গার্লস স্কুলের পিটি শিক্ষক আমিনুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে। তার স্ত্রী শান্তা সোনারগাঁ উপজেলার বারদী এলাকার মো. কলিমউল্লাহর মেয়ে।
বন্দর থানা পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারকৃত আমিনুল ইসলাম বন্দর রাজবাড়ী এলাকার রফিকুল ইসলাম মিয়ার ছেলে এবং বন্দর গার্লস স্কুলের শিক্ষক। তিনি তার স্ত্রীর লাশ নিয়ে এসেছিলেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, দুপুর দেড়টার দিকে কম্বলে মোড়ানো অবস্থায় এক নারীর মৃতদেহ নিয়ে আসেন এক যুবক। জানতে চাইলে ওই যুবক মৃতদেহটি তার স্ত্রীর আবার কখনও রাস্তা থেকে কুড়িয়ে পাওয়া লাশ বলে পরিচয় দেয়। তার অসংলগ্ন কথাবার্তা শুনে এক পর্যায়ে পুলিশে খবর দিলে সে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। পরে হাসপাতালের লোকজন তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
ডা. মোস্তাফিজুর রহমান আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে ওই নারীর মৃত্যু অন্তত দুই থেকে তিনদিন পূর্বে হয়েছে বলে ধারণা করছি। মৃতের শরীরে লবণ মাখানো ছিল এবং মাথায় কাটা দাগ ছিল।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফখরুদ্দীন ভূঁইয়া বলেন, মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহতের স্বামীকে আটক করা হয়েছে। নিহতের পিতা বাদী হয়ে তার মেয়েকে হত্যার অভিযোগ এনে স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগটি মামলা হিসেবে গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে। এছাড়াও আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তিনি অসংলগ্ন তথ্য দিচ্ছেন। তবে হত্যার আসল কারণ এখনও জানা যায়নি।