বিডিমর্নিং ডেস্কঃ উপমহাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ নানা সময়ে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রেখেছে। ভাষা আন্দোলন দিয়ে শুরু, এরপর বাঙালির ন্যায্যতা অর্জনে পালন করেছে অগ্রণী ভূমিকা। পঁচাত্তর-পরবর্তী সময়ে স্বৈরশাসকদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে গণতন্ত্রের লড়াইয়েও ছিল ছাত্রলীগ। গৌরব ও ঐতিহ্যের সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ৭২ পেরিয়ে ৭৩ বছরে পদার্পণ করলো।
বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, তারুণ্যই পারে অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিতে। আর বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সেই তারুণ্যের প্রতীক। ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গঠন করেন ছাত্রলীগ। উপমহাদেশের সবচেয়ে পুরনো ও ঐতিহ্যবাহী ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের হাত ধরেই রচিত হয়েছে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন ৫৪’র যুক্তফ্রন্ট ৬২’র শিক্ষা আন্দোলন ৬৬’র ৬ দফা ৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থানসহ বাঙালির হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ অর্জন মহান মুক্তিযুদ্ধ।
ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, অসাম্প্রদায়িকতাকে প্রতিহত করে বাংলাদেশকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগের।
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদ লেখক ভট্টচার্য বলেন, করোনার কারণে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি শিথিল করা হয়েছে। শুধু একটি আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উপস্থিত থাকবেন।
ছাত্রলীগের সোনালি অর্জন ফিরিয়ে আনতে দলীর শৃঙ্খলার গুরুত্ব দিয়ে সংগঠনের সাবেক নেতারা বলেন, দলের ছোটখাটো ত্রুটির কারণে পুরো ঐতিহ্য ম্লান হওয়ার নয়।
পানিসম্পদ উপমন্ত্রী ও সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি এনামুল হক শামীম বলেন, আদর্শিক কর্মী, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও শেখ হাসিনার প্রশ্নে আপসহীন হতে হবে। একই সঙ্গে শিক্ষা, শান্তি প্রগতির প্রশ্নে আপসহীন হতে হবে।