Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০১ বৃহস্পতিবার, মে ২০২৫ | ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

নির্যাতনের শিকার সেই ঢাবি ছাত্রলীগ নেত্রীর বেঁচে থাকার আবেদন

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬ জানুয়ারী ২০২১, ০৮:০৫ AM
আপডেট: ০৬ জানুয়ারী ২০২১, ০৮:০৫ AM

bdmorning Image Preview


সিনিয়র দুই ছাত্রলীগের নেত্রীর হাতে মারধরের শিকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হল ছাত্র সংসদের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) ফাল্গুনী দাস তন্বী এবার জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে চিঠি দিয়েছেন।

লিখিত চিঠিতে ফাল্গুনী দাস তন্বী উল্লেখ করেন, সম্প্রতি কোভিড পরিস্থিতির কারণে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দিলে আমিও হল ত্যাগ করি এবং দীর্ঘদিন নিজ বাড়িতে থাকি। পরবর্তীতে ব্যক্তিগত কারণে আমি ঢাকা এসে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বঙ্গবন্ধু টাওয়ারে একটি বাসায় অবস্থান করি। ২১ ডিসেম্বর রাতে বঙ্গবন্ধু টাওয়ারের সামনে সঙ্গীত বিভাগের বেনজির হােসেন নিশি এবং ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের জিয়াসমিন শান্তা কর্তৃক আমি হামলার শিকার হই এবং সেখানে তাদের সহযােগী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফার্সি বিভাগের মাে. শাহজালাল।

ছাত্রলীগ নেত্রী আরো জানান, এই ঘটনার ফলে আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি এবং সেন্ট্রাল হাসপাতালে ২৩ ডিসেম্বর থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত চিকিৎসাধীন ছিলাম। এই ঘটনার পর থেকে আমি ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে আছি এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আমার নিরাপত্তা ও স্বাভাবিক চলাফেরার জন্য আপনার সদয় অবগতি কামনা করছি।

চিঠির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাবি প্রক্টর গোলাম রাব্বানী। তিনি জানান, তার চিঠি আমরা পেয়েছি এবং তাকে দুইজন সহকারী প্রক্টরের সাথে যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছি। তাছাড়া তাকে একটি জরুরি নম্বর দেওয়া হয়েছে। যেখান থেকে তাকে দ্রুত সহায়তা করা হবে। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থী জড়িত থাকলে আমরা ব্যবস্থা নেব।

তন্বীকে মারধর করার অভিযোগ ওঠা দুই নেত্রী হলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বেনজীর হোসেন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন নাহার হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়াসমিন শান্তা। মারধরের ওই ঘটনায় ছাত্রলীগ আনুষ্ঠানিক কোনো তদন্ত কমিটি গঠন করেনি। তবে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য ব্যক্তিগতভাবে তদন্ত করছেন।

গত ২১ ডিসেম্বর মধ্যরাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদ ও বঙ্গবন্ধু টাওয়ার এলাকায় ওই মারধরের ঘটনা ঘটে। মারধর করার অভিযোগ ওঠা দুই নেত্রী হলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বেনজীর হোসেন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন নাহার হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়াসমিন শান্তা।

Bootstrap Image Preview