রাজধানীর কলাবাগানে ইংলিশ মিডিয়াম মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ‘ও’ লেভেলের (১০ম শ্রেণি) ছাত্রী আনুশকাহ নূর আমিনকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আলামত সংগ্রহ করছে সিআইডি।
আজ শুক্রবার রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান বলেন, কলাবাগানের এই মর্মান্তিক ঘটনায় দিহানের নামে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। এরপর আজ তাকে রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। রিমান্ড নেয়ার পর প্রকৃত তথ্য পাওয়া যাবে।
তিনি জানান, আনুশকার ময়নাতদন্ত হচ্ছে। আগেইতো আমরা সুরতাল করার সময় সিআইডির মাধ্যমে তার ভ্যাজাইনার সোয়াপ রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত থেকে কেমিক্যাল পরীক্ষার জন্য আলামত রাখা হবে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই পুরো সিদ্ধান্তে আসা যাবে আসলে কিভাবে হত্যা করা হয়েছে।
কলাবাগান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আ ফ ম আসাদুজ্জামান বলেন, আনুশকাহর বন্ধু দিহানকে একমাত্র আসামি করে তার বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। আমাদেরও ধারণা, তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকেও তেমন রিপোর্ট দেয়া হয়েছে। কারণ ধর্ষণের পর তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কলাবাগানের ডলফিন গলিতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মেয়েটির বন্ধু দিহানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরও তিন বন্ধুকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
কলাবাগান থানার পরিদর্শক (অপারেশন্স) ঠাকুর দাস বলেন, ওই ছাত্রীর বাসা ধানমন্ডির সোবহানবাগে। বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে ওই ছাত্রী তার বন্ধুর সঙ্গে দেখা করার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। কলাবাগানের ডলফিন গলিতে দিহানের বাসায় নিয়ে যায় ওই ছাত্রীকে। দিহানের বাসা তখন ফাঁকা ছিল। সেখানে ওই ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়লে দিহান তার তিন বন্ধুকে ফোন করে ডেকে আনে। পরে তারা অসুস্থ ছাত্রীকে চিকিৎসার জন্য মডার্ণ আনোয়ার খান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে বিকেলে তার মৃত্যু হয়।
এদিকে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত দিহানসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। ওই স্কুলছাত্রীর মায়ের অভিযোগ, দিনদুপুরে তার মেয়েকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ শেষে হত্যা করা হয়েছে।