সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে একটি জ্বালানি তেলবাহী ট্রেনের সাতটি কনটেইনার ওয়াগন লাইনচ্যুত হয়ে যায়। এতে সিলেটের সাথে সারাদেশের ট্রেন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ দুর্ঘটনার প্রায় ৩০ ঘণ্টা পর সিলেট রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
শনিবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৬টায় সিলেট থেকে ট্রেন চলাচল শুরু হয়।
সিলেট রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ খলিলুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, উদ্ধার কাজ শেষে রেলপথ ট্রেন চলাচলের উপযোগী করা হয়। যদিও ভোর রাত সাড়ে ৩টায় সিলেট রেলস্টেশন থেকে উপবন ট্রেন চালানো হয়। কিন্তু মাইজগাঁও স্টেশনে যাওয়ার পর ট্রেনটি দাঁড়িয়ে ছিল। সেখান থেকে সকাল সাড়ে ৬টায় ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
তিনি বলেন, দুর্ঘটনা কবলিত তেলবাহী ট্রেনের বগিগুলো সরিয়ে খালি জায়গায় রাখা হয়েছে। এছাড়া দুর্ঘটনায় ২০০ মিটার রেল লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। বেঁকে যাওয়ায় রেল লাইন সরিয়ে নতুন লাইন লাগানো হয়েছে। যে কারণে মেরামত করতে সময় লেগেছে।
বৃহস্পতিবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টার দিকে চট্টগ্রাম থেকে সিলেটের উদ্দেশে ছেড়ে আসা তেলবাহী একটি ট্রেন ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার মাইজগাঁও স্টেশন সংলগ্ন গুতিগাঁওয়ে দুর্ঘটনায় পড়ে। দুর্ঘটনায় ট্রেনের ২১টি লরির মধ্যে ১০টি লাইনচ্যুত হলে তেল ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আশপাশের এলাকায়।
ঘটনার পর গভীর রাতে কুলাউড়া থেকে উদ্ধারকারী ট্রেন এসে উদ্ধার কাজ শুরু করে। পরদিন শুক্রবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে আখাউড়া থেকে অপর উদ্ধারকারী ট্রেন দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাজ শুরু করে। শতাধিক কর্মীর প্রায় ৩০ ঘণ্টা নিরলস চেষ্টার পর ট্রেন চলাচল শুরু হয়।
এ প্রসঙ্গে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর হোসেন সংবাদমাধ্যমকে জানান, চুক্তি অনুযায়ী যাচাই বাছাই করে তেল কোম্পানিগুলোকে ক্ষতিপূরণের টাকা দিয়ে দেওয়া হয়। তবে অনেকে বলছেন এতে ভাড়ার চেয়ে ক্ষতিপূরণেই বেশি টাকা চলে যাচ্ছে।
জ্বালানিবাহী ওয়াগনগুলোর ওজন বেশি হওয়ায়, দীর্ঘদিনের পুরনো রেল ট্র্যাক, পুরনো ইঞ্জিনের কারণে এমন দুর্ঘটনা বেড়েছে বলে মনে করে তেল কোম্পানিগুলো। এর জন্য তেল পরিবহনে যা ভাড়া আসে তার চেয়ে বেশি চলে যায় ক্ষতিপূরণ পরিশোধে।