নিরামিষ পিৎজা অর্ডার করে আমিষ পিৎজা পেলে কে না খুশি হবেন? কিন্তু এমন ভুল করে এক কোটি রুপি জরিমানা দেয়ার মুখে পড়েছে একটি মার্কিন পিৎজা কোম্পানি। ভুল করার দায়ে ওই কোম্পানির বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণের মামলা করেছেন ভারতের উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের দীপালি নামে এক নারী।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিনের খবরে বলা হয়, ওই নারী ও তার পরিবার আজীবন নিরামিষভোজী। মাংস দেয়া পিৎজা খাওয়ার ফলে এরপর থেকে সারাজীবন তাকে প্রায়শ্চিত্ত করে যেতে হবে। এ কারণে দিল্লির এক জেলা আদালতে ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা করেছেন ওই নারীর আইনজীবী। আদালত অভিযোগ শোনার পর ওই কোম্পানির কাছে লিখিত জবাব চেয়েছে।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৯ সালের ২১ মার্চ দোল পূর্ণিমার দিনে উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের নারী দীপালি নিরামিষ পিৎজা অর্ডার করেন। বাড়িতে পিৎজা এসে পৌঁছাতেই তারা বাক্স খুলে খেতে শুরু করেন। কিন্তু কামড় দিয়েই বুঝতে পারেন তাতে মাশরুমের বদলে রয়েছে মাংসের টুকরো। সঙ্গে সঙ্গে তিনি ওই কোম্পানিতে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
এর পাঁচ দিন পর ২৬ মার্চ এ কোম্পানির জেলা পর্যায়ের এক কর্মকর্তা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তিনি এই ভুলের বদলে পুরো পরিবারকে বিনামূল্যে পিৎজা অফার করেন। কিন্তু তারা বিষয়টিকে খুব স্বাভাবিক এবং হালকাভাবে দেখানোর চেষ্টা করছিল বলে অভিযোগ ওই নারীর। এরপর তারা আইনের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
ক্ষোভ হতাশার সঙ্গে দীপালি জানিয়েছেন, তিনি ধর্মীয় বিশ্বাস, শিক্ষা, পরিবারিক পরম্পরা, সচেতনতা এবং নিজস্ব পছন্দের ভিত্তিতে আজন্ম নিরামিষভোজী। কিন্তু ওই পিৎজা কোম্পানির ভুলের জন্য তাকে মাংস খেতে হয়। ফলে সারাজীবন মানসিক যন্ত্রণা ছাড়াও দীর্ঘ পূজাযজ্ঞের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে, যা লাখ লাখ টাকার বিষয়।
দিল্লির কনজিউমার ডিসপিউট রিড্রেসাল কমিশনে তিনি অভিযোগপত্রে দাবি করেছেন, তাদের এত দিনের ধর্মীয় অভ্যাস, বিশ্বাস, সব নষ্ট করে দিয়েছে ওই কোম্পানি। তাই ওই কোম্পানির কাছে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন তারা। তার অভিযোগের ভিত্তিতে কমিশন ওই কোম্পানির কাছে লিখিত উত্তর চেয়েছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১৭ মার্চ।