পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়ার উপকন্ঠে ভাঙড়া মোড়ের কড়চা নবকুঞ্জ ময়দানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জনসভা ছিল বৃহস্পতিবার। কিন্তু সেই জনসভায় একের পর এক কর্মী সমর্থকের পকেটমারের ঘটনা ঘটে।
হঠাৎ যখন তারা খেয়াল করেন যে, তাদের পকেটমার হয়েছে। তখন সভার মধ্যে থেকেই ‘পকেটমার, পকেটমার’ বলে চিৎকার করে ওঠে সবাই। একাধিক জনকে কিল-ঘুসিও দেয় সভায় আসা জনতা। কিন্তু মারধর করে তো লাভ নেই, কারণ অপরাধী চিহ্নিত করাই যে দায়!
আসলে হাত সাফাইয়ের জন্য তৃণমূল বা বিজেপি বা বামফ্রন্টের সভার ভিড়েও মিশে যায় পকেটমারদের দল। ফলে সভাতে থাকলেও এই পকেটমারদের শায়েস্তা করতে পারে না পুলিশ।
তাই ভিড়ে ঠাসা জনসভায় যখন জনতা কার্যত নেতা–নেত্রীদের ওপর হামলে পড়ে তখনই ভিড়ে মিশে পকেট থেকে মোবাইল, মানিব্যাগ, মোটরসাইকেলের চাবি সবই নিয়ে যায়।
এদিন সভায় থাকা বিজেপির স্বেচ্ছাসেবকরা সতর্ক থাকলেও পকেটমারদের হাত থেকে সভায় আসা মানুষজনকে বাঁচাতে পারেনি তারা।
এ বিষয়ে বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক বিবেক রাঙ্গা বলেন, সভায় এমন ঘটনার কথা শুনেছি। আসলে পুলিশ এই পকেটমারদের বিরুদ্ধে তেমন ব্যবস্থা নেয় না। তাই এ ধরনের সভায় তারা পকেটমারে। মোদির সভায় এমন ঘটনা ঘটলো এটা পুলিশের ব্যর্থতা।
উল্লেখ্য, শুধু মোদির সভায় নয় এর কয়েকদিনে আগে তৃণমূলের জনসভাতেও এমন ঘটনা ঘটেছে।