Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১০ মঙ্গলবার, জুন ২০২৫ | ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

মিরপুরে ‘চুক্তিতে শারীরিক’ সম্পর্ক, কার্টনবন্দি লাশ হয়ে ফিরলেন তরুণী

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭ এপ্রিল ২০২১, ১২:০৪ PM
আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০২১, ১২:০৪ PM

bdmorning Image Preview


তরুণীর স্বপ্ন ছিল জর্ডান যাওয়ার। স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে টাকা জোগাড়ের চেষ্টায় নামা। ফলাফল কার্টনবন্দি মরদেহ। কার্টনের গায়ে থাকা মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে শনাক্ত হয় খুনি। খুলেছে রহস্যের জট।

পুলিশ বলছে, ভুক্তভোগী বেগম (ছদ্মনাম) পেশায় পতিতা আর হত্যাকারী একজন ডেলিভারি বয়। গত ১ এপ্রিল এমনই ঘটনা ঘটে রাজধানীর মিরপুরে।

পুলিশের হাতে আসা একটি ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, ৩১ মার্চ রাত সাড়ে ৯টায় কাজীপাড়ায় একটি প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করেন এক ব্যক্তি। পরে অনুসন্ধানে জানা যায় তার নাম রিপন এবং তিনি ওই প্রতিষ্ঠানেই চাকরি করেন। রিপনের পেছন পেছন প্রবেশ করেন এক নারী। ঘণ্টা দুয়েক পর বাড়িটি থেকে বের হয়ে যেতে দেখা যায় রিপনকে। কিছুক্ষণ পর একটির রিকশা নিয়ে আবারো গেটের কাছে আসেন তিনি। আবারো বাড়িতে প্রবেশ। মিনিট দশেক পর একটি বড় কার্টন নিয়ে রিকশাযোগে চলে যেতে দেখা যায়।

গত ১ এপ্রিল ভোরে রাজধানীর মিরপুরের ঢাকা ডেন্টাল কলেজের জরুরি গেটের সামনে থেকে কার্টনবন্দি এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে ওই নারীর পরিচয় শনাক্ত করে ভাসানটেক থানা পুলিশ। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা হয়।

যে কার্টন থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয় তার গায়ে থাকা একটি মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে আটক করা হয় ফিরোজ আল আনাম নামের ওই ব্যক্তিকে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আটক করা হয় রিপনকে। বের হয় হত্যা রহস্য। ওই নারীকে খুন করার কথা স্বীকার করেন রিপন।

ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে জর্ডান যেতে চেয়েছিলেন বেগম। থানা পুলিশের ভয় দেখিয়ে রিপনের কাছ থেকে আদায় করতে চেয়েছিলেন মোটা অঙ্কের টাকা। তার আগেই জীবন প্রদীপ নিভে যায় তার।

পুলিশ বলছে, ভুক্তভোগী নারী পেশায় পতিতা। সে রাতে পাঁচশো টাকা চুক্তিতে ঘাতক রিপনের সঙ্গে তার অফিসে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু দাবি করেন দেড় লাখ টাকা। এ নিয়ে বাকবিতণ্ডা। এক পর্যায়ে গলাটিপে হত্যা।

ডিএমপি মিরপুর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার আ স ম মাহাতাব উদ্দিন বলেন, এটা পরিকল্পিত হত্যা না। ওই মেয়েটাকে কন্ট্রাক্টে শারীরিক সম্পর্কের জন্য নেওয়া হয়। তারপর তাদের মধ্যে টাকা নিয়ে তর্কাতর্কি হয়। তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে মেয়েটিকে গলা টিপে হত্যা করা হয়। কার্টনে কিন্তু একটা প্রতিষ্ঠানের লোগো থাকে, একটা নম্বর থাকে। আমরা ওই সূত্র ধরেই আসামিকে গ্রেফতার করেছি।

Bootstrap Image Preview