Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৯ সোমবার, জুন ২০২৫ | ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

রয়াল রিসোর্ট কাণ্ডে মামুনুল হকের 'দোষ' স্বীকার!

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮ এপ্রিল ২০২১, ০৫:১৭ PM
আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০২১, ০৫:১৭ PM

bdmorning Image Preview


নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়্যাল রিসোর্টে গত শনিবার এক নারীসহ অবরুদ্ধ হওয়ার ঘটনাসহ সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে ব্যাখ্যা দিতে ফেসবুক লাইভে এসে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক এক প্রকার  'দোষ' স্বীকার করেছেন। লাইভে তিনি বলেন, আমি সেদিন নারায়নগঞ্জের রয়াল রিসোর্টে যে ঘটনা ঘটেছে সেটি নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে যে আমি কেন এই পরিস্তিতিতে রিসোর্টে গেলাম। হ্যা আমি স্বীকার করছি যে এমন অসাবধানতাবশত সেখানে আমার যাওয়া সমীচিন হয়নি। তবে আমি জানতাম না যে দেশের মানুষের ব্যক্তিগত নিরপাত্তা চরমভাবে ভেঙ্গে পড়েছে।

বৃহস্পতিবার (০৮ এপ্রিল) দুপুর সোয়া ৩টার দিকে ফেসবুক লাইভে আসেন তিনি।

 

লাইভে তিনি বলেন, ইসলামে চারটি বিয়ের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। দেশের আইনেও একাধিক বিয়েতে বাধা নেই। কাজেই আমি দ্বিতীয় বিয়ে করেছি এতে কার কী? যদি আমি স্ত্রীদের কোনো অধিকার থেকে বঞ্চিত করে থাকি, তবে আমার বিরুদ্ধে আমার পরিবার অভিযোগ দিতে পারে। কিন্তু আজ পর্যন্ত কেউ কি দেখাতে পারবে যে আমার পরিবার কোনো বিষয়ে আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ দিয়েছে?

তিনি বলেন, আমার স্ত্রীর সঙ্গে আমি কি কথা বলবো না বলবো সেটা আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু আমার ব্যক্তিগত ফোনালাপ ফাঁস করে আমার ব্যক্তিগত অধিকার ক্ষুন্ন করা হয়েছে। 

এটি যেমন দেশের আইনেও অপরাধ তেমনি ইসলামী বিধানেও চরম গুনাহের কাজ। সুতরাং আমার ব্যক্তিগত ফোনালাপ যারা ফাঁস করেছে তাদের বিরুদ্ধে আমি আইনি ব্যবস্থা নেব। 

মামুনুল আরও বলেন, যেভাবে একেরপর এক মানুষের ব্যক্তিগত ফোনালাপ ফাঁস করা হচ্ছে, এটি দেশের জন্য ভালোকিছু বয়ে আনবে না। মাওলানা রফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে তার নামেও অপবাদ দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এইযে এতোগুলো ফোনালাপ ফাঁস করা হল তাতে কি প্রমান মিলেছে যে সে আমার বিবাহিতা স্ত্রী নয়? অথচ শুধু শুধু আমার একান্ত ব্যক্তিগত কথাগুলো কোন উদ্দেশ্যে ফাঁস করা হল?

ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকার আশ্বাস তিনি বলেন, বিশ্বের মুসলমান ভাইদেরও তাদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছি। একের পর এক মামলা করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে অনেক মানুষকে হয়রানি করা হবে। অথচ প্রকৃত যারা দোষী, যারা গিয়ে হামলা করলো, সেই সন্ত্রাসীদের ব্যাপারে রাষ্ট্র নীরব। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। অথচ তাদের নাম-পরিচয় দিবালোকের মতো পরিষ্কার। ইনশআল্লাহ, ইতোমধ্যে তাদের ব্যাপারে আমি এজাহার দায়ের করেছি। আরও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’

প্রসঙ্গত, সোনারগাঁয়ে নারীসহ অবরুদ্ধ হওয়ার ঘটনার পর হেফাজত কর্মীদের ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে সোনারগাঁ থানায় তিনটি মামলা দায়ের হয়েছে।

দুটি মামলা পুলিশ বাদী হয়ে ও অপর মামলাটি আহত এক সাংবাদিক বাদী হয়ে করেছেন। এই তিন মামলায় মামুনুল হককে প্রধান আসামি করা হয়েছে।

 

Bootstrap Image Preview