রাজধানীর গুলশানের একটি অভিজাত ফ্ল্যাট থেকে মোসারাত জাহান (মুনিয়া) নামের এক কলেজছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে গুলশান ২ নম্বরের ১২০ নম্বর সড়কের একটি ফ্ল্যাট থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত মুনিয়া ঢাকার একটি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। মোসারাত জাহানের বাড়ি কুমিল্লা শহরে। তার বাবা মুক্তিযোদ্ধা শফিকুর রহমান। মেয়েটির পরিবার কুমিল্লায় থাকে। এখানে ওই ফ্ল্যাটে তিনি একাই থাকতেন।
সোমবার রাতে খবর পেয়ে পুলিশ বাইরে থেকে দরজার তালা খুলে তার লাশ সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পায়।
গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) সুদীপ কুমার চক্রবর্তী উপকমিশনার সুদীপ বলেন, দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় শিল্প গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে মোসারাত জাহানের পরিচয় ছিল। তিনি ওই ফ্ল্যাটে যাতায়াত করতেন বলেও তথ্য পেয়েছেন তারা।
এদিকে মোসারাত জাহানের (মুনিয়া) বড় বোন নুসরাত জাহান গুলশান থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলার প্রাথমিক তথ্য বিবরণীতে দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় শিল্প গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের নাম উল্লেখ্য করা আছে।
গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান জানিয়েছেন, ওই তরুণী ফ্ল্যাটটিতে একাই থাকতেন। সোমবার সন্ধ্যায় গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা থেকে তার বোন এসে দরজা বন্ধ পান। তিনি মুনিয়াকে ফোন দিলেও রিসিভড করছিলেন না। এরপর পুলিশকে খবর দিলে রাতে বাইরে থেকে দরজার তালা খুলে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
ওসি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ওই তরুণী আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্তের আগে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে না।’
নিহতের স্বজনের বরাতে পুলিশ জানায়, মুনিয়া তার বড় বোনকে ফোন করে বলেছিলেন ঝামেলায় পড়েছেন। এ কথা শুনে তার বোন সোমবার কুমিল্লা থেকে ঢাকায় এসে সন্ধ্যার দিকে ওই ফ্ল্যাটে যান। দরজায় ধাক্কাধাক্কি করলেও বোন দরজা খুলছিলেন না। এরও কিছুক্ষণ আগে থেকে তিনি মুনিয়ার ফোন বন্ধ পাচ্ছিলেন।
পুলিশের গুলশান জোনের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, তারা ভবনটির সিসি ক্যামেরার ফুটেজ এবং মুনিয়ার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপসহ ডিজিটাল ডিভাইসগুলো জব্দ করেছেন। এগুলো যাচাই করে তারপর সব বলা যাবে।