রাজধানীর গুলশানের একটি ফ্ল্যাটে কলেজপড়ুয়া ছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়ার মৃত্যুর পেছনে কারো জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে তাকে ছাড় না দিয়ে আইন ও বিচারের মুখোমুখি করার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
আজ বুধবার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ সরকারি বাসায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আইন অনুযায়ী সব চলবে। যেই অপরাধী হোক, তাকে আইনের মুখোমুখি হতে হবে। এটি তদন্তাধীন রয়েছে। সেই তদন্তের পরই আমরা বলতে পারব।’
গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে সোমবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় কলেজপড়ুয়া ওই তরুণীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মেয়েটিকে ‘আত্মহত্যায় প্ররোচনা’ দেয়ার অভিযোগে সোমবার (২৬ এপ্রিল) রাতেই গুলশান থানায় মামলা করেন তার বড় বোন ইসরাত জাহান তানিয়া। এতে আসামি করা হয় বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরকে।
পুলিশের গুলশান জোনের উপকমিশনার (ডিসি) সুদীপ কুমার চক্রবর্তী সাংবাদিকদের জানান, সোমবার সন্ধ্যার দিকে গুলশান ২ নম্বরের ১২০ নম্বর সড়কের ফ্ল্যাট থেকে ওই তরুণীর ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার বাড়ি কুমিল্লায়।
ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করার পাশাপাশি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে মঙ্গলবারই কুমিল্লায় বাবা-মায়ের কবরের পাশেই ওই তরুণীকে দাফন হয়।
এ ঘটনায় মামলার পর মঙ্গলবারই বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীরের বিদেশে যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত। তবে, সায়েম সোবহান বর্তমানে দেশে রয়েছেন কিনা, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
আনভীরের বিদেশ যাতায়াতের ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে আবেদন করেন আত্মহত্যায় প্ররোচনা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার পরিদর্শক মোল্লা আবুল হাসান। আবেদনে সাড়া দিয়ে আনভীরের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক শহিদুল ইসলাম। সেই সঙ্গে বিচারক আগামী ৩০ মের মধ্যে তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দেন তিনি।
কয়েকটি গণমাধ্যমে আনভীরের বিদেশ যাওয়ার খবর প্রকাশ করলেও বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে, গত কয়েকদিনের মধ্যে এই নামে কেউ বিদেশ যাননি। তবে, আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে- ডকুমেন্ট জালিয়াতির মাধ্যমে তিনি দেশ ত্যাগ করেছেন কিনা!