আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের একটি স্কুলে গাড়িবোমা এবং মর্টারেস্টের বিস্ফোরণের ঘটনায় স্কুলছাত্রীসহ অন্তত ৫৫ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও প্রায় ১৫০ জন আহত হয়েছেন।
স্থানীয় সময় শনিবার (৮ মে) রাতে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানায়।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন,স্থানীয় সময় শনিবার (৮ মে) বিকেলে কাবুলের সায়েদ উল সুহাদা নামের একটি স্কুলে শিক্ষার্থীরা স্কুল থেকে বেরিয়ে আসার সময় বোমা বিস্ফোরনের ঘটনা ঘটে।
গণমাধ্যমে প্রচারিত ভিডিওতে দেখা যায়, স্কুলটির সামনের রাস্তায় শিক্ষার্থীদের রক্তের পাশাপাশি ব্যাগ আর বই ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। স্থানীয় লোকজন রক্তাক্ত শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করতে এগিয়ে আসেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র তারিক আরিয়ান জানান, এটি ছাত্র এবং ছাত্রীদের যৌথ উচ্চ বিদ্যালয়। এখানে তিন শিফটে পড়ানো হয় এবং দ্বিতীয় শিফটটি ছাত্রীদের। আহতদের বেশিরভাগই ছাত্রী। বিস্ফোরণের উদ্দেশ্য সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গুলাম দস্তগীর নাজারি বলেন, বিস্ফোরণের পর আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
এদিকে এ হামলার জন্য প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি তালেবানদের দোষারোপ করে বলেছেন, ‘তালেবানরা তাদের অবৈধ যুদ্ধ ও সহিংসতা বাড়িয়ে দেখিয়ে দিয়েছে তারা শান্তিপূর্ণ ও মৌলিকভাবে সংকট সমাধানে ইচ্ছুক নয়। তারা বরং পরিস্থিতি জটিল করে তুলছে।’
কোনো গোষ্ঠী শনিবারের হামলার দায় স্বীকার করেনি। তালেবান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন এবং এ হামলার নিন্দা জানিয়েছেন।
বিস্ফোরণ ও হতাহতের ঘটনার পর এর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। আফগানিস্তানের ইউরোপী ইউনিয়নের মিশন এক টুইট বার্তায় লিখেছে, কাবুলে দাস্তই বারচি অঞ্চলে ভয়াবহ হামলা সন্ত্রাসবাদের একটি ঘৃণ্য কাজ। একটি স্কুলের ছাত্রীদের ওপর টার্গেট করে এ হামলা চালানো হয়েছে বলে জানা গেছে। যা আফগানিস্তানের ভবিষ্যতের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।’