হঠাৎ ঝড়ো বাতাসে দৌলতদিয়ার ৫ নম্বর পন্টুনের তার ছিঁড়ে ঢাকাগামী একটি মাইক্রোবাস নদীতে পড়ে ডুবে গেছে। এ ঘটনায় ডুবে যাওয়া মাইক্রোবাসের ভেতরে থাকা চালক এবং যাত্রীরা নিখোঁজ রয়েছেস। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাদের উদ্ধারের চেষ্টা করছে।
মঙ্গলবার (১১ মে) দুপুর সোয়া ১টার দিকে ডুবে যাওয়া মাইক্রোবাসটি রেকার দিয়ে উদ্ধার করা হয়েছে এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের ইন্সপেক্টর আশরাফুল ইসলাম। তবে মাইক্রোবাসটি উদ্ধার করা গেলেও আশরাফুল ইসলাম বলেন, তার ভেতরে কোনো লোক ছিলো না। সে জন্য ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল চালককে উদ্ধারের চেষ্টা করছে।
তিনি আরো বলেন, সকাল আনুমানিক ১১টার সময় ঝড়ো বাতাসের কারণে দৌলতদিয়া ৫ নম্বর পন্টুনের তার ছিঁড়ে যায়। এসময় মাইক্রোবাসটি নদীতে পড়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে ডুবে যায়। আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে রেকার দিয়ে গাড়িটি উদ্ধার করি এবং স্থানীয়দের সংবাদের ভিত্তিতে গাড়িতে থাকা চালককে উদ্ধারের জন্য ডুবুরিরা চেষ্টা করছে।
তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, মাইক্রোবাস নদীতে পড়ে ডুবে যাওয়ার সময় চালক গাড়ির কাচ ভেঙে বাঁচার আকুতি জানালেও কেউ এগিয়ে আসেনি।
এদিকে দৌলতদিয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক আবদুল মোন্নাফ আলী বলেন, আজ বেলা সোয়া ১১টার দিকে দৌলতদিয়ার ৫ নম্বর ঘাটে ভেড়ানো ইউটিলিটি (ছোট) ফেরি মাধবীলতায় ঢাকাগামী মাইক্রোবাসটি উঠতে যায়। এ সময় কালবৈশাখী ঝড় শুরু হলে ঘাট থেকে পন্টুনের ডান পাশের তার ছিঁড়ে যায়। একই সঙ্গে পন্টুনের বাম পাশের খুঁটি ভেঙে পন্টুনটি পদ্মা নদীতে চলে যায়। এ সময় মাইক্রোবাসটি ফেরিতে ওঠার চেষ্টা করছিল। কিন্তু তার আগেই মাইক্রোবাসটি পেছনের দিকে গেলে সঙ্গে সঙ্গে পন্টুন থেকে সেটি নদীতে চলে যায়।
পুলিশ পরিদর্শক মোন্নাফ আলী আরও বলেন, মাইক্রোবাসটিতে চালকসহ ঢাকাগামী কয়েকজন যাত্রী ছিলেন। তবে তাদের পরিচয় সম্পর্কে জানা যায়নি। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস উদ্ধারকাজে আসে। দুপুর ১২টার পর থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা উদ্ধারকাজ শুরু করেন। দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত মাইক্রোবাসটি পানিতে ভাসতে দেখা গেলেও কাউকে উদ্ধার করা যায়নি।