হাতের মেহেদির রঙ না মুছতেই বিয়ের মাত্র তিন দিনের মাথায় আশুলিয়ায় ঋতু আক্তার (১৯) নামে এক তরুণী শ্বশুরবাড়ি থেকে লাশ হয়ে ফিরল বাবার বাড়িতে। নিহত তরুণী আশুলিয়ার খেঁজুরটেক এলাকার আবুল হোসেন বাবুর মেয়ে। আজ মঙ্গলবার সকালে আশুলিয়ার নারী ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে পুলিশ ওই তরুণীর মৃতদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় তরুণীর স্বামী রুবেল মোল্লাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নিহতের স্বজনরা জানান, দীর্ঘ দিন ধরে ঋতু আক্তার ও আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুর এলাকার মোল্লা বাড়ির রুবেল মোল্লার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত ১১ জুন তাদের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর মঙ্গলবার ঋতু আক্তারের বাবার বাড়িতে আসার কথা ছিল। ঋতুর বাবাও মেয়েকে বাসায় আনার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। হঠাৎ তার কাছে ফোন আসে ‘ঋতু আক্তার অসুস্থ। তাড়াতাড়ি আশুলিয়ার নারী ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চলে আসেন।’ ফোন পেয়ে ঋতুর বাবা দ্রুত হাসপাতালে গিয়ে মেয়েকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন।
ঋতু আক্তারের বাবা আবুল হোসেন বলেন, আমি হাসপাতালে গিয়ে ঋতুকে মৃত অবস্থায় দেখতে পাই। এসময় ঋতুর শ্বশুর বাড়ির লোকজন বলছিলো যে, ঋতু আত্মহত্যা করেছে। আমি বিষয়টি মেনে নিতে পারিনি। পুলিশ মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান বলেন, তরুণীটি মারা যাওয়ার ঘটনাটি রহস্যজনক। তাই এ ব্যাপারে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে ৩০৬ ধারায় একটি মামলা দায়ের ও তরুণীটির স্বামী রুবেল মোল্লাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে যদি হত্যাকাণ্ডের প্রমাণ মেলে তাহলে মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তর হবে।