Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১২ সোমবার, মে ২০২৫ | ২৮ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

বোট ক্লাব থেকে অচেতন পরীমণিকে কোলে নিয়ে বের হয় জিমি

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৬ জুন ২০২১, ১১:৪৩ AM
আপডেট: ১৬ জুন ২০২১, ১১:৪৩ AM

bdmorning Image Preview


অভিনেত্রী পরীমণিকে ধর্ষণ এবং হত্যা চেষ্টার ঘটনায় বেশ তৎপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ইতোমধ্যে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমিকে গ্রেফতার করা আদালতের মাধ্যমে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। ঘটনা বিশ্লেষণে ঢাকা বোট ক্লাবের সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধার করেছে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

৯ জুন, রাত ১২টা ২২ মিনিট। ঢাকা বোট ক্লাবের সামনে একটি কালো গাড়ি থামে। গাড়িটি ছিল অমির। গাড়ির সামনের দরজা থেকে নামেন পরীমণি। পেছনের ডান পাশের দরজা দিয়ে বের হন গ্রেফতার হওয়া বোট ক্লাবের সদস্য অমি, পরীমণি কস্টিউম ডিজাইনার জিমি, তার বোন বনি।

ক্লাবের বাইরের ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, ক্লাবে ঢোকার সময় পরীমণি কালো টপস, জিন্সের প্যান্ট পরা ছিলেন। বনি লাল টপস সঙ্গে জিন্সের প্যান্ট এবং জিমি কালো হাতাকাটা গেঞ্জি-হাফ প্যান্টে। অমির পরনে ছিল সাদা গেঞ্জি ও গ্যাবার্ডিনের প্যান্ট। শুধুমাত্র অমি ছাড়া বাকি সবাই মাস্ক পরে ক্লাবে প্রবেশ করেন।

রিসিপশনের ক্যামেরায় তাদের ৪ জনকে একসঙ্গে বারে ঢুকতে দেখা যায়। তখন রিসিপশন ডেস্কে ছিলেন দুইজন এবং ডেস্কের পাশে দাড়িয়ে ছিলেন আরও একজন স্টাফ।

গুগল নিউজ-এ ঢাকা পোস্টের সর্বশেষ খবর পেতে ফলো করুন।

রাত ২টায় রিসিপশনের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, পরীমণিকে অচেতন অবস্থায় কোলে করে নিয়ে বের হন জিমি এবং একজন সিকিউরিটি গার্ড। পেছনে দৌড়াচ্ছিলেন তার বোন বনি। তাদের পেছনে স্বাভাবিকভাবে হেঁটে যাচ্ছিলেন অমি। গাড়িতে উঠার সময় আঙুল তুলে সবাইকে ধমকের ইঙ্গিত দিতে দেখা গেছে অমিকে।

এদিকে বনানী থানার বাইরের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, রাত ৩টা ৫২ মিনিটে বনানী থানায় প্রবেশ করেন পরীমণি। প্রথমে তারা ডিউটি অফিসারের রুম হয়ে থানার ভেতরে প্রবেশ করেন। পরে একজন অফিসার তাদের ডিউটি অফিসারের কাছে যেতে বলেন। পরীমণি ডিউটি অফিসারের রুমে গিয়ে তার বরাবর চেয়ারে বসেন এবং ঘটনার বর্ণনা দিচ্ছিলেন। তবে ডিউটি অফিসার তার কথা বুঝতে পারছিলেন না। পরে তাকে পুলিশের একটি গাড়িতে এভার কেয়ার হাসপাতালে পাঠানো হয়।

বারের ভেতরে সিসিটিভি ফুটেজ না থাকলেও অমি তার মোবাইলে ১৬ সেকেন্ডের মতো একটি ধস্তাধস্তির ভিডিও করেছিলেন। এতে নাসিরকে হই-হুল্লোড় এবং গালমন্দ করতে শোনা গেছে।

সেদিনের রাতের ঘটনা সম্পর্কে ডিবি উত্তর বিভাগের যুগ্ম-কমিশনার হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের বলেন, তারা দুইজনই পরীমণির গালে থাপ্পড় এবং মাটিতে ফেলে দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। মূলত তারা স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে। কারণ অমির গাড়িতেই পরীমণিকে সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অমি না নিয়ে গেলে এমন ঘটনা নাও ঘটতে পারত।

এর আগে পরীমণির দায়ের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে উত্তরায় তুহিন সিদ্দিকী অমির বাসায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও অমিসহ তাদের তিন ‘রক্ষিতা’কে গ্রেফতার করে ডিবি। অভিযানে অমির বাসায় তল্লাশি চালিয়ে এক হাজার পিস ইয়াবা, বিদেশি মদ ও বিয়ার জব্দ করা হয়।

গত রোববার (১৩ জুন) রাতে ফেসবুক পোস্টে পরীমণি অভিযোগ করেন, গত ৯ জুন (বুধবার) উত্তরার বোট ক্লাবে তাকে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা চালান ব্যবসায়ী নাসির ইউ মাহমুদ ও তার সহযোগীরা। এ ঘটনায় তিনি সাভার থানায় ৬ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

Bootstrap Image Preview