মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাট থেকে বাংলাবাজারের দিকে ছেড়ে যাচ্ছে ফেরি ‘কুঞ্জলতা’। এ সময় যাত্রীদের হুড়োহুড়িতে দুই সন্তানকে নিয়ে আনিসুর ফেরি উঠতে পারলেও পারেননি স্ত্রী তামান্না বেগম।
এদিকে ফেরিতে থাকা নিরুপায় স্বামীর আকুতি দেখার মত। ফেরি থেকে বারবার স্ত্রীর দিকে হাত বাড়িয়ে ডাকতে থাকছেন আনিসুর। তবে যেন কিছুই করার নেই। ঘাটের সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে বাড়তে দূরে চলে যায় ফেরি। আর অসহায় চোখে তাকিয়ে থাকেন তামান্না।
বুধবার (৩০ জুন) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শিমুলিয়া ৩ নম্বর ফেরিঘাটে এ চিত্র দেখা যায়।
কথা হলে তামান্না বেগম জানান, লকডাউনের কারণে স্বামীর সঙ্গে বাগেরহাটে গ্রামের বাড়ি যেতে ঘাটে এসেছিলেন। ফেরি ছাড়ার প্রস্তুতি যখন শেষ তখন যাত্রীদের হুড়োহুড়িতে স্বামী দুই মেয়েকে নিয়ে ফেরিতে উঠতে পারলেও পারেননি তিনি। এরমধ্যেই ছেড়ে দেয় ফেরি। সঙ্গে নেই মোবাইল ফোনও। এখন কী করবেন বুঝতে পারছেন না।
এদিকে, বৃহস্পতিবার থেকে দেশব্যাপী কঠোর বিধিনিষেধকে কেন্দ্র করে বুধবার সকাল থেকে দক্ষিণবঙ্গগামী যাত্রীদের ভিড় দেখা যায়। সকাল থেকে শিমুলিয়া থেকে ছেড়ে যাওয়া প্রতিটি ফেরিতে গাদাগাদি করে পার হচ্ছেন যাত্রীরা। মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের সুপারিন্টেন্ডেন্ট বশির আহমেদ জানান, লকডাউনকে কেন্দ্র করে ঘাটে মানুষের চাপ রয়েছে। শিমুলিয়া-বাংলবাজার নৌরুটে বর্তমানে মোট ১৫টি ফেরি সচল রয়েছে। অতিরিক্ত যাত্রীর কারণে কার্যক্রমে বেগ পেতে হচ্ছে।