ইমরানুল আজিম চৌধুরী:
রাজধানীর পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার নাসরিন সুলতানা জিন্নাত (২৪) নামের কিশোরী ৩ জুলাই বেলা আনুমানিক ১১ টার দিকে পায়ে হেঁটে প্রবেশ করে চিকিৎসক এর পরামর্শে ভর্তি হন। রাতে অপারেশন এর পরে বাড়ি ফিরেন লাশ হয়ে।
পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ জিন্নাত ডাক্তারের ভুল চিকিৎসার স্বীকার হয়ে মারা গেছেন। বিষয়টি গোপন রাখতে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেছেন বলেও দাবী স্বজনদের।
গত ৪ জুলাই মৃত জিন্নাতের মরদেহ নোয়াখালীর সদর উপজেলার করমুল্লাহ ইউনিয়নে দাফন করা হয়। মৃত নাসরিন সুলতানা জিন্নাত নোয়াখালীর সদর উপজেলার করমুল্লাহ ইউনিয়ন এর চুল্লাডগী মিয়া বাড়ির হারুনুর রশিদ এর মেয়ে।
জিন্নাতের বাবা হারুনুর রশিদ জানান, আমার মেয়ে শারীরিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ ছিল। নাকে হাড় বেড়ে যাওয়ায় ঢাকায় নিয়ে আসি চিকিৎসার জন্য। কিন্তু গত ৩ জুলাই হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে ভর্তির পরামর্শ দেন চিকিৎসক। সে অনুযায়ী ভর্তি করা হলে রাতে অপারেশন করার জন্য নেওয়া হয়।
এই প্রসঙ্গে জিন্নাতের ভাই জিহাদ জানান, আমার বোনের অপারেশন করার পূর্বে আমি সকল ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাই। কোভিড, আল্ট্রাসোনো, ইসিজি, এক্স-রে, ব্লাড, হিমোগ্লোবিন সহ সকল পরীক্ষা করানো হয়েছিল। তার নাকের হাড় বেড়ে যাওয়া ব্যাতীত অন্য কোনো সমস্যা ছিল না। এজন্য আমি পপুলার এ ভর্তি করাই। অপারেশন করার পূর্বেই ডাক্তার বোনকে থিয়েটারে রেখে টাকার জন্য আমাদেরকে চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন, এক পর্যায়ে কোনো রিসিট ব্যাতীত আমরা টাকা দিতে বাধ্য হই।
এ বিষয়ে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর আইসিইউ'র দায়িত্বরত ডা. আব্দুল্লাহ আল ফারুক বলেন, অপারেশন থিয়েটার থেকেই রোগীর অবস্থার অবনতি হয়, অপারেশন চলাকালীন হার্ট বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তিনি বলেন এনেস্থিসিয়া করার সময় ঘটনাটি ঘটে, ওষুধের প্রভাবেও হতে পারে।
সার্জারী ডাক্তার প্রফেসর মঞ্জুরুল আলম, ওষুধের অতিরিক্ত প্রয়োগ ও নিজের ভুল স্বীকার করেননি। তার দাবী এনেস্থিসিয়া করার কারণে রোগীর হৃদকার্য বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তিনি আরো বলেন, আমরা সবসময়ই চেষ্টা করি রোগীকে উত্তম চিকিৎসা প্রদানের, আর আপনি সামনাসামনি আসলে আরো বিস্তারিত বলা যেত।