নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাসেম ফুড কারখানায় আগুন লাগার সময় ভবনের চতুর্থ তালায় তালাবদ্ধ থাকায় শ্রমিকরা কেউ বের হতে পারেনি। এতে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। তারা জানান, ফ্লোর তালাবদ্ধ না থাকলে এতো প্রাণহানি হতো না।
এখনও পঞ্চম ও ষষ্ঠ তলায় আগুন জ্বলছে। কারখানায় বিভিন্ন ধরনের ক্যামিকেল থাকায় অগ্নিকাণ্ডের স্থায়িত্বকাল দীর্ঘ হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ৪৯ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
বেঁচে যাওয়া শ্রমিকরা বলছেন, কারখানায় আগুন লাগার পরও কর্তৃপক্ষ কলাপসিবল গেটের তালা না খোলায় শ্রমিকরা বের হতে পারেননি। ছাদের গেটের তালাও লাগানো ছিল।
বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কর্ণগোপ এলাকায় হাশেম ফুডস অ্যান্ড বেভারেজ কারখানায় এ আগুন লাগে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। রাত ৮টার দিকে ফায়ার সার্ভিস জানায়, সাত তলা ভবনের ছয় তলা পর্যন্ত আগুন ছড়িয়ে পড়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের একজন কর্মকর্তা জানান, অগ্নিকাণ্ডের সময় অনেকে ভবনের বিভিন্ন তলা থেকে লাফিয়ে পড়ে আহত হয়েছেন। এখনও বহু শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছে। ভবনের পঞ্চম ও ষষ্ঠ তলার আগুন নিভলে উদ্ধার অভিযান শুরু করা হবে। ওই দুই ফ্লোরে আরও অনেক মরদেহ থাকতে পারে বলে জানান তিনি।
ওই ভবনের চতুর্থ তলায় ললিপপ, তরল চকলেট, তৃতীয় তলায় অরগানিক পানীয় (জুস, লাচ্ছি), দোতলায় টোস্ট বিস্কুট, বিভিন্ন ধরনের পানীয় এবং নিচতলায় বাক্স ও পলিথিন তৈরির কারখানা ছিল। পঞ্চমতলার একপাশে সেমাই, সেমাই ভাজার তেল, পলিথিন এবং অপর পাশে কারখানার গুদাম ছিল। কারখানার ষষ্ঠতলায় ছিল কার্টনের গুদাম।