ঠাকুরগাঁওয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার সাংবাদিক তানভির হাসান তানু অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে হাজত থেকে হাসপাতালে নিয়েছে পুলিশ।
শনিবার (১০ জুলাই) দিবাগত রাত একটার দিকে তানুর শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। পরে তাকে হাসপাতালে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীরুল ইসলাম।
সাংবাদিক তানুর পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ৫ তারিখেই তিনি করোনা থেকে সুস্থ হন। তবে, এখনও তিনি শারীরিক অসুস্থতা অনুভব করছেন। তাকে নিয়মিত ওষুধ খাওয়ানো হচ্ছে।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তানভীরুল ইসলাম বলেন, সাংবাদিক তানু হঠাৎ শারীরিক অসুস্থতা অনুভব করেন। দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মকর্তা বিষয়টি আমাকে জানালে আমি তাকে হাসপাতালে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিই।
গত ৬ ও ৭ জুলাই জাগোনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম, বাংলাদেশ প্রতিদিনসহ বিভিন্ন নিউজ পোর্টাল ও দৈনিকে ‘ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে করোনা রোগীকে ৩০০ টাকার পরিবর্তে ৭০ টাকার খাবার দেওয়া হয়’ মর্মে একটি সংবাদ প্রচার হয়।
সংবাদটির কিছু অংশ- সরকারি বরাদ্দ ৩ শত টাকা করে থাকলেও হাসপাতালে গুলোতে তিন বেলায় মিলে তা দেয়া হচ্ছে ৬০-৭০ টাকার খাবার। এর বাহিরে বিভিন্ন ধরনের ফলমূল দেওয়ার কথা থাকলেও তা পাচ্ছেন না কেউ। বাড়ির খাবারের প্রতি রোগীদের নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। ফলে খাবার সরবরাহে করোনা ইউনিটে দর্শনার্থীর আনাগোনায় সংক্রমণ ছড়ানোর ঝুঁকিও বাড়ছে।
এ সংবাদ প্রচারের পরই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নড়েচড়ে বসে। সংবাদটির জের ধরে হাসপাতালের পরিচালক সদর থানায় আইসিটি আইনে মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় শনিবার সন্ধ্যায় তানুকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবের সভাপতি মনসুর আলী নিন্দা জানিয়ে বলেন, একটি সত্য সংবাদ করার পরেই এভাবে মামলা দিয়ে সাংবাদিককে হয়রানি করা মানে দেশের কন্ঠ চেপে ধরা। মামলা হওয়ার সাথে সাথে সাংবাদিক গ্রেফতারের বিষয়টি আমি তীব্র ঘৃণা প্রকাশ করছি। পরবর্তিতে আমরা কঠোর আন্দোলনে যাবো।