কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ভারতীয় সীমান্তে গাছের সঙ্গে ঝুলন্ত এক যুবকের মরদেহ নিয়ে গেছে বিএসএফ সদস্যরা। পরে জানা গেছে, ওই যুবক বাংলাদেশি।
বাংলাদেশ-ভারতের সীমান্ত পিলার থেকে ৪০ গজ দূরে ভারতের বীরচন্দ্রনগর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
৪০ বছর বয়সী ওই যুবকের নাম বেলাল হোসেন। তার বাড়ি চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নের মতিয়াতলী এলাকায়।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শুভ রঞ্জন চাকমা জানান, রোববার সকালে যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ দেখে স্থানীয় লোকজন বিএসএফকে খবর দেয়। পরে তার পরিচয় জানা যায়। বেলালের বিরুদ্ধে মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগ আছে। তার নামে চৌদ্দগ্রাম থানায় একাধিক মাদক মামলা আছে। গত সপ্তাহে তিনি কারাগার থেকে বের হয়।
তিনি জানান, বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে দীর্ঘ সময় ধরে পতাকা বৈঠক হলেও বিজিবি মরদেহ নিতে রাজি হয়নি। তবে পরিবার চাইলে আইনি প্রক্রিয়া শেষে বিএসএফ মরদেহটি বিজিবির মাধ্যমে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবে।
এর আগে গত ৭ জুলাই চৌদ্দগ্রামে বাংলাদেশের সীমান্তে অজ্ঞাতপরিচয় নারীর মরদেহ উদ্ধার করে বিজিবি। ফিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমে তার জাতীয় পরিচয়পত্র থেকে কোনো তথ্য না পেয়ে ধারণা করা হয় ওই নারী ভারতীয়। তবে মরদেহটি বাংলাদেশি এলাকায় থাকায় এটি নেয়নি বিএসএফ। পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মরদেহ বেওয়ারিশ হিসেবে চৌদ্দগ্রাম থানায় আনা হয় বলে জানিয়েছেন ওসি।
১০ বছর আগে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে কাঁটাতারের উপর কিশোরী ফেলানীর গুলিবিদ্ধ মরদেহ পাওয়া যায়। এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়। এখনও হয়নি ফেলানী হত্যার বিচার।