Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৭ বুধবার, মে ২০২৫ | ২৩ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

মাদরাসাছাত্রীকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে মৎস্য ঘেরে ধর্ষণ, ভোরে মিলল লাশ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৫ জুলাই ২০২১, ১২:০১ PM
আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২১, ১২:০১ PM

bdmorning Image Preview
ছবি সংগৃহীত


রাতে ঘর থেকে তুলে মৎস্যঘেরে নিয়ে এক মাদরাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ করেছে পরিবার। পরে লোকলজ্জা ও বাবার ভয়ে ওই ছাত্রী বিষপানে আত্মহত্যা করে।

কক্সবাজারের পেকুয়ায় শনিবার (২৪ জুলাই) ভোরে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ওই ছাত্রী রাজাখালী বেশারাতুল উলুম ফাজিল মাদরাসায় অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত।

নিহত ওই ছাত্রীর বাবা বলেন, ঘটনার সময় স্ত্রীসহ বাঁশখালীর পুঁইছড়ি আত্মীয়ের বাড়িতে ছিলাম। রাতে ছেলে জানায়, মেয়ে বিষপান করেছে। দ্রুত বাড়িতে এসে স্থানীয়দের কাজ থেকে জানতে পারি বাদশার ছেলে আলমগীর, নুরুল হকের ছেলে রবি আলম ও বাঁশখালী ছনুয়া এলাকার মকসুদ আহমদের ছেলে আবুল কাশেম মেয়েকে রাতে জোরপূর্বক বাড়ি থেকে বের করে মৎস্য প্রজেক্টের টংঘর নিয়ে যায়। ওখানে তিনজন মিলে ধর্ষণ করে। তার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসে। এমন ঘটনায় সে অপমানবোধ করায় রাতে বিষপান করে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তার মৃত্যু হয়।

আলমগীর দীর্ঘদিন ধরে তার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল উল্লেখ করে তিনি আরো জানান, লোকলজ্জা বা পরিবারকে মুখ কি করে দেখাবে সে জায়গা থেকে বিষপান করতে পারে। তবে জোর করে অনৈতিক কাজ করে ওই তিনজন। তিনি সুষ্ঠু বিচার চান।

আলমগীরকে প্রধান আসামি করে ধর্ষণ মামলার এজাহার করা হলেও পুলিশ ধর্ষণের অভিযোগ আমলে নিচ্ছেন না বলে জানান ওই মাদরাসাছাত্রীর বাবা।

এজাহার না নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) কানন সরকার বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বিষপানে ওই ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। ধর্ষণের বিষয়টি যেহেতু এসেছে তাই দ্রুত ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট এলে বিষয়টি পরিস্কার হওয়া যাবে। তখন এটি নিয়মিত মামলা হয়ে যাবে।

রাজাখালী ইউনিয়ন পরিষদের ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নেজাম উদ্দিন নেজু বলেন, নিহত ছাত্রীকে মাদরাসা আসা যাওয়ার পথে বিভিন্ন সময় উত্ত্যক্ত করতো বাঁশখালীর ছনুয়া এলাকার আবুল কাশেম নামে এক বখাটে। সর্বশেষ রাতে ওই বখাটেসহ তার আত্মীয় আলমগীর ও রবি আলম রাতে জোরপূর্বক বাড়ি থেকে বের করে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে তাকে বাড়িতে রেখে চলে যায়। এ ঘটনায় ছাত্রী অপমান সইতে না পেরে রাতে বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। এখন পরিবার এজাহার দায়েরের চেষ্টা করছে।

পেকুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের মেডিক্যাল অফিসার ডা. মাহফুজুর রহমান বলেন, ওই মাদরাসাছাত্রীর মৃত্যুর কারণ সঠিক করে বলা যাচ্ছে না। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, কীটনাশক জাতীয় কিছু সেবনের ফলে তার মৃত্যু হয়েছে। বিস্তারিত ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে বলা যাবে।

Bootstrap Image Preview