Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০২ শুক্রবার, মে ২০২৫ | ১৯ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

সপ্তাহের ব্যবধানে আমের চেয়ে মাল্টার দাম বেশি

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৬ জুলাই ২০২১, ১১:০৯ AM
আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২১, ১১:০৯ AM

bdmorning Image Preview
ছবি সংগৃহীত


দেশের চলমান পরিস্থিতিতে সপ্তাহের ব্যবধানে আম, মাল্টা এবং আপেলসহ দাম বেড়েছে প্রায় সব ধরনের ফলের।

সোমবার (২৬ জুলাই) রাজধানীর নতুন বাজারসহ একাধিক বাজার বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ঈদের পর থেকে আমের দাম কেজিতে ২০ থেকে ৪০ টাকা বেড়েছে। মাল্টার দাম বেড়েছে ৩০-৫০ টাকা। আপেলের দাম বেড়েছে ১০-২০ টাকা কেজি। আনার ও লটকনের দামও বেড়েছে।

রাজধানীর ফল বিক্রেতা ও ক্রেতারা বলছেন, করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় মানুষ ফল খাচ্ছেন বেশি। তাই চাহিদা বেড়েছে। অন্যদিকে, লকডাউনের কারণে রাজধানীতে কমেছে ফলের যোগান। এ দুই কারণেই ফলের বাজারে আগুন লাগার দশা।

বিক্রেতারা বলছেন, আমরা বেশি দামে কিনে এনেছি, তাই বেশি দামে বিক্রি করছি। আমাদেরও লাভ কমেছে। আমরা তো কম দামে বিক্রি করতে চাই, তাতে লাভও বেশি হয়।

রাজধানীর বাজারগুলোতে গত সপ্তাহে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি করা আম্রপালি আম এখন বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি থেকে ১২০ টাকা কেজিতে। ৩০ টাকা কেজি বিক্রি করা ফজলি আম এখন বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা কেজিতে। অশ্বিনী ও লক্ষ্মণভোগ জাতের আম বিক্রি হচ্ছে যথাক্রমে ৮০ ও ৭০ টাকা কেজি। অথচ এই আমের দাম একসপ্তাহ আগেও ছিল ৩৫-৫০ টাকা কেজি।

আমের পাশাপাশি ঈদের আগে ১৩০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া মাল্টা এখন বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৭০-১৮০ টাকা কেজিতে। অর্থাৎ, কেজিতে ৪০ টাকা থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে সপ্তাহের ব্যবধানে। একইভাবে ১৫০-১৬০ টাকা কেজির আপেল বিক্রি হচ্ছে ১৮০-২০০ টাকা। অর্থাৎ, আপেলের দাম কেজিতে বেড়েছে ২০-৪০ টাকা।

আর আনার বিক্রি হচ্ছে সর্বনিন্ম ২৬০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি। লটকন বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১২০ টাকা কেজিতে। পেয়ারা বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা কেজিতে।

দেশজুড়ে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়ায় মানুষ বেশি করে ফল কিনছেন। কিন্তু লকডাউনের কারণে সেই তুলনায় ফল আমদানি কম। তাই ফলের দাম বেড়েছে বলে যুক্তি দেখান উত্তর বাড্ডার ফল ব্যবসায়ী নেহাল আহমেদ।

তিনি বলেন, সব ধরনের আমের দাম বাড়ছে। তবে তারমধ্যে আম্রপালির দাম বেড়েছে সব চেয়ে বেশি। ঈদের এক সপ্তাহ আগে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি করেছি, এখন কিনতেই হচ্ছে ৮০ টাকায়। খরচসহ প্রকারভেদে ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

Bootstrap Image Preview