শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ফেরি স্বল্পতার কারণ দেখিয়ে বিকল্প রুট হিসেবে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবহারের আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থা (বিআইডব্লিউটিসি)।
পদ্মা সেতুর পিলারে ফেরির ধাক্কার পর শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ফেরি চলাচল সীমিত করা হয়েছে। এই অবস্থায় বিকল্প রুট ব্যবহারের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করেছে সরকার।
শুক্রবার (১৩ আগস্ট) সেতুর ১০ নম্বর পিলারে ধাক্কা দেয় মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া-মাদারীপুরের বাংলাবাজার রুটে চলচলারত 'ফেরি কাকলী'।
বিআইডব্লিউটিসির উৃদ্ধৃতি দিয়ে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম খান শুক্রবার দিনগত রাত ১২টার দিকে বাংলানিউজকে বলেন, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌ রুটে ফেরি স্বল্পতা থাকায় সম্মানিত ফেরি ব্যবহারকারী/সর্বসাধারণকে বিকল্প পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও চাঁদপুর-শরিয়তপুর ফেরি রুট ব্যবহারের অনুরোধ করা হলো।
এরআগেও দুই দফা সেতুর পিলারে ধাক্কা লাগে। মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, কয়েক দফা ধাক্কার পর ওই রুটে ফেরি চলাচল সীমিত করে দেওয়া হয়েছে।
এরআগে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া-মাদারীপুরের বাংলাবাজার রুটে চলচলারত 'ফেরি কাকলী' সঠিকভাবে পরিচালনায় ব্যর্থ হওয়ায় ফেরির ভারপ্রাপ্ত মাস্টার মো. বাদল হোসেন এবং হুইল সুকানী আব্দুর রশিদকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
শুক্রবার সকালে পদ্মা সেতুর ১০ নম্বর পিলারে ধাক্কা লাগে ফেরি কাকলীর। এরপরই নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ফেরিঘাট, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুট এবং শরীয়তপুরের মাঝিরকান্দিঘাট পরিদর্শন করেন।
পদ্মা সেতু পুরোপরি চালু হলে মাদারীপুরের বাংলাবাজারঘাটের বাধ রক্ষায় শরীয়তপুরের জাজিরায় মাঝিরঘাটে ফেরিঘাট স্থানান্তরের বিষয়টি পরিকল্পনায় রয়েছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষের দাবি, শুধু জুলাই মাসেই ৩টি ফেরি সেতুর পিলারে আঘাত করেছে।
অন্যদিকে সেতুতে বারবার ফেরি ধাক্কার ঘটনায় শুক্রবার (১৩ আগস্ট) বিকেলে পদ্মা সেতুর মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে পরিদর্শনে এসে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পদ্মাসেতুর পিলারে বারবার ফেরির ধাক্কা লাগার বিষয়ে কোনো ষড়যন্ত্র আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে। এই সেতু এখন পুরো জাতির সম্পদ, জাতীয়ভাবে মানুষ আহত হয়েছে এবং মানুষের অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে।
তিনি বলেন, পদ্মা সেতুতে ফেরির ধাক্কাকে তুচ্ছ কোনো ঘটনা ও নিছক কোনো দুর্ঘটনা অথবা চালকের অদক্ষতা বলে এড়িয়ে যাওয়া ভুল হবে। সেনাবাহিনীকে বলব, এ ব্যাপারে গভীরভাবে তদারকি করা দরকার। এখানে শষ্যের মধ্যে ভূত আছে কিনা তাও গভীরভাবে খতিয়ে দেখা হবে।