ফরিদপুরের সালথায় নির্মমভাবে খুন করা হয় ব্যাটারিচালিত রিকশাভ্যান চালক লাবলু ফকিরকে। এরপর খুনিদের ফেলে যাওয়া সিগারেটের প্যাকেটের সূত্র ধরে খুনি চক্রের পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার দুপুরে ফরিদপুর পুলিশ লাইন্স মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানানো হয়।
নগরকান্দা ও সালথা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সুমিনুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, ঘটনাস্থলে ঘাতকদের ফেলে যাওয়া ডারবি কোম্পানির পরিত্যক্ত সিগারেটের প্যাকেটের সূত্র ধরে অনুসন্ধান চালিয়ে পুলিশ আসামিদের সন্ধান পায়। এরপরই তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, গত ১০ আগস্ট সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সালথা উপজেলার আটঘর-জয়কাইল সড়কের পাশের একটি খাদ থেকে লাবলু ফকিরের (৪০) মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি সালথা উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের মীরকান্দি গ্রামের হোসেন ফকিরের ছেল। লাবলুর দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে।ব্যাটারিচালিত রিক্সাভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন তিনি।
এ ব্যাপারে নিহত লাবলুর স্ত্রী হনুফা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে ১২ আগস্ট সালথা থানায় একটি মামলা করেন। মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মিজানুর রহমানকে। মামলার পাঁচদিনের মধ্যে হত্যা রহস্য উদঘাটন হলো বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনে এই হত্যা রহস্য উদঘাটন সম্পর্কে জানান ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো. তরিকুল ইসলাম।
এরআগে, গত সোমবার সালথা ও পাশের বোয়ালমারী উপজেলা বিভিন্ন জায়গা থেকে ওহিদ গাজী ছাড়াও গ্রেপ্তার করা হয় উপজেলার মীরকান্দি গ্রামের মো. হাতেম ফকির (৩২), একই গ্রামের মো. মিলন মীর (২৫), মো. সোহাগ মাতুব্বর (২২) এবং পাশের বোয়ালমারী উপজেলার সুগন্ধী গ্রামের মো. আজিজুল খানকে (২৬)।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া ওই ব্যক্তিরা স্বীকার করেন, রিকশাভ্যান চালক লাবলুর কাছে থাকা ১৫ হাজার টাকা এবং রিকশাভ্যানটি ছিনতাই করার জন্যই রাতে বাড়ি ফেরার পথে তাকে অপহরণ করে নিয়ে হত্যা এবং টাকা ও রিকশাভ্যান ছিনিয়ে নেওয়া হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মিজানুর রহমান বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে আসামিদের ফরিদপুরের ছয় নম্বর আমলি আদলতে সোপর্দ করা হয়। আদালতের নির্দেশে তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।