Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৬ মঙ্গলবার, মে ২০২৫ | ২৩ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

সিনহা চাইলেন পানি, গলায় পা চেপে মৃত্যু নিশ্চিত করেন ওসি প্রদীপ: অটোচালকের সাক্ষ্য

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৯:৩১ AM
আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৯:৩১ AM

bdmorning Image Preview


সেনাবাহিনীর সাবেক মেজর সিনহা মো. রাশেদ খানের চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলায় দ্বিতীয় দফায় সোমবার আরও একজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা সম্পন্ন হয়েছে। এ মামলার ৯ নং ও চতুর্থ  সাক্ষী হিসেবে কামাল হোসেন সাক্ষ্য প্রদান করেছেন।

সিএনজি অটোরিকশাচালক কামাল হোসেন তার সাক্ষ্যে বলেছেন, গুলিবিদ্ধ হয়ে সিনহা সড়কে লুটিয়ে পড়েন। তখনও তিনি জীবিত ছিলেন। তিনি 'পানি, পানি' বলে ছটফট করছিলেন। কিন্তু কেউ তাকে পানি দেয়নি।

কামাল আরও বলেন, ওসি প্রদীপ ঘটনাস্থলে এসে সিনহার বুকে লাথি মারেন ও বুট জুতা দিয়ে তার গলা চেপে ধরেন। এরপর নিস্তেজ পড়েন সিনহা। এ সময় তারা কয়েকজন ঘটনাস্থলের আশপাশে ছিলেন বলে জানান অটোচালক কামাল। আদালত সূত্র এ তথ্য জানিয়েছেন।

চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার ৪ নম্বর সাক্ষী অটোরিকশা চালক কামাল হোসেন সোমবার কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এ সাক্ষ্য দেন। আসামী পক্ষের আইনজীবীরা এরপর তাকে জেরা করেন। 

কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে সকাল ১০টায় এ সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এর আগে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে পুলিশের প্রিজনভ্যানে করে মামলার ১৫ আসামিকে আদালতের কাঠগড়ায় তোলা হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি ফরিদুল আলম বলেন, সোমবার তিনজন সাক্ষী হাজির ছিলেন। কিন্তু একজনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ ও জেরা করে আদালতের সময় শেষ হয়ে গেছে। 

তিনি আরও বলেন, দুই দফায় পাঁচ দিনে মাত্র ৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ ও জেরা শেষ করা সম্ভব হয়েছে। মঙ্গলবার পঞ্চম সাক্ষীকে আদালতে উপস্থাপন করা হবে।

এদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী রানা দাশগুপ্ত বলেন, সাক্ষী কামাল হোসেন যে সিএনজি চালক তার কোনো প্রমাণ নেই। আদালতকে তিনি যা বলছেন তা ইতিপূর্বে তদন্ত কর্মকর্তাকে বলেননি।

এর আগে গত ২৩ আগস্ট থেকে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত টানা তিন দিনে মামলার বাদী, মেজর সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস ও ঘটনার সময় সিনহার সঙ্গে থাকা সহকর্মী সাহেদুল ইসলাম সিফাতের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। রোববার আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন এই হত্যা মামলার ৩ নম্বর স্বাক্ষী মোহাম্মদ আলী।

গত বছর ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এ ঘটনায় ৫ আগস্ট সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

গত বছর ১৩ ডিসেম্বর র‍্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের তৎকালীন দায়িত্বরত সহকারী পুলিশ সুপার খাইরুল ইসলাম ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। গত ২৭ জুন আদালত ১৫ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এতে সাক্ষী করা হয় ৮৩ জনকে।

Bootstrap Image Preview