প্রতিবেদনে নাসির-তামিমা-সুমিকে দোষী উল্লেখ করেছে পিবিআই

ডিভোর্স না দিয়ে অন্যের স্ত্রীকে বিয়ে করার অভিযোগে ক্রিকেটার নাসির হোসাইন ও তার স্ত্রী তামিমা সুলতানা তাম্মির বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। প্রতিবেদনে নাসির, তামিমা ও তামিমার মা সুমি আক্তারকে দোষী উল্লেখ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসীমের  আদালতে এ প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তামিমা তাম্মির সাবেক স্বামী রাকিব হাসানের আইনজীবী নুসরাত সুলতানা।

প্রতিবেদনে বলা হয়, তামিমার আগের স্বামী রাকিব হাসানকে ডিভোর্স দেয়া সংক্রান্ত কাগজপত্র জাল জালিয়াতির মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। নাসিরকে বিয়ের আগে রাকিবকে ডিভোর্স দেননি তামিমা। তাই নাসির-তামিমার বিয়ে আইনত অবৈধ।

ইসলামি শরিয়া অনুযায়ী তালাকের কাগজ ছাড়া অন্যের স্ত্রীকে বিয়ে করার অভিযোগে চলতি বছর ২৪ ফেব্রুয়ারি নাসির ও তার স্ত্রী তামিমার বিরুদ্ধে মামলাটি করেন তাম্মির আগের স্বামী রাকিব।

মামলায় অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে বিয়ের তথ্য গোপন করে অন্যত্র বিয়ে, অন্যের স্ত্রীকে প্রলুব্ধ করে প্রতারণার মাধ্যমে বিয়ে, ব্যভিচার ও মানহানির অভিযোগ আনা হয়। আদালত পিবিআইকে মামলার বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমার নির্দেশ দেয়।

চলতি বছরের ভালোবাসা দিবসে জমকালো আয়োজনের মাধ্যমে প্রেমিকা তামিমাকে বিয়ে করেন নাসির। তারা জানান, আইন মেনে ইসলামি শরিয়াহ অনুযায়ী বিয়ে করেছেন তারা।

তাম্মির আগের স্বামী রাকিব জানান, বিয়ের আলোচনার মধ্যেই এ বিষয়ে থানায় জিডি করেছেন তিনি।

জিডিতে রাকিবের অভিযোগ, তামিমার সঙ্গে ১১ বছরের দাম্পত্য জীবন কাটিয়েছেন তিনি। তাদের ৮ বছরের কন্যা সন্তান রয়েছে। অথচ তাকে ডিভোর্স না দেয়ার পরও নাসির জেনেশুনে তামিমাকে বিয়ে করেন৷

অভিযোগে আরও বলা হয়, নাসিরকে বিয়ে করার আগে আরও একজনের সঙ্গে সম্পর্ক জড়িয়েছিলেন তাম্মি। তাকে বিয়ে করে ছয় মাস সংসার করার পর ফিরে আসেন তিনি। এরপর নতুন করে নাসিরের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান সৌদি এয়ারলাইনসের এ বিমানবালা।