Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ সোমবার, মে ২০২৫ | ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরতে চাওয়ায় মুহিবুল্লাহকে হত্যা : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২ অক্টোবর ২০২১, ০১:২২ PM
আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০২১, ০১:২২ PM

bdmorning Image Preview
ছবি সংগৃহীত


কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গাদের প্রথম সারির নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যার ঘটনায় প্রতিক্রিয়ায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, মুহিবুল্লাহ নিজ দেশ মিয়ানমারে ফেরত যেতে চেয়েছিলেন, সে কারণে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল তাকে হত্যা করেছে।

শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রতিক্রিয়ায় এমন মন্তব্য করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মুহিবুল্লাহ নিজ দেশ মিয়ানমারে ফেরত যেতে চেয়েছিলেন, সে কারণে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল তাকে হত্যা করেছে। এ হত্যাকাণ্ডে যে বা যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে  কঠোর ব্যবস্থা নেবে সরকার।

মুহিবুল্লাহ হত্যাকারীদের অবশ্যই বিচারের সম্মুখীন করা হবে উল্লেখ করে ড. মোমেন বলেন, রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যাকারীদের  অবশ্যই বিচারের সম্মুখীন করা হবে। এ ব্যাপারের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে নিহত মুহিবুল্লাহর ভাই হাবিবউল্লাহ বাদী হয়ে উখিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলার এজাহারে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে। রোহিঙ্গাদের শীর্ষ ৫ নেতার একজন মুহিবুল্লাহ হত্যা মামলায় শুক্রবার দুপুরে মোহাম্মদ সেলিম উল্লাহ ওরফে লম্বা সেলিম নামে এক রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্যরা। একই দিন রাতে আরও দুই জন রোহিঙ্গাকে আটক করে এপিবিএন।
 
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নের মুখে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর দেশটির রাখাইন রাজ্য থেকে বাংলাদেশে আসে প্রায় ৮ লাখ রোহিঙ্গা। বাস্তুচ্যুত অন্য রোহিঙ্গাদের সঙ্গে এ দেশে এসেছিলেন রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহও। ২০১৯ সালের ১৭ জুলাই রোহিঙ্গাদের প্রতিনিধি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউসে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনান্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করে আলোচনায় এসেছিলেন মুহিবুল্লাহ।

২৯ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে কক্সবাজারের উখিয়ায় লাম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে একদল দুর্বৃত্ত মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যা করে। মুহিবুল্লাহ আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের (এআরএসপিএইচ) চেয়ারম্যান ছিলেন। এই সংগঠনের হয়ে তিনি রোহিঙ্গাদের অধিকারের কথা তুলে ধরতেন। মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের চেষ্টায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছিলেন তিনি।

Bootstrap Image Preview