র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, যেখানেই কিশোর গ্যাং কালচার রয়েছে সেখানে কিন্তু আমাদের তরুণ কিশোররা বিপথে পা বাড়াচ্ছে। সমাজের স্বাভাবিক আচার-আচরণের বাইরে গিয়ে তারা বিচ্যুত পথে যাচ্ছে। মাথা ব্যথার জন্য মাথা কাটা নয়, আমরা মাথা ব্যথার ওষুধ দেব। বিচ্ছিন্নতাবোধ থেকে বের হতে হবে। বই পড়া, খেলাধুলা বাড়াতে হবে। যেভাবেই হোক কিশোর গ্যাং কালচার নিয়ন্ত্রণে আনতেই হবে। এটার জন্য দরকার জনসচেতনতা। তরুণ প্রজন্মকে কোনোভাবে আমরা ব্যর্থ হতে দিতে পারি না।
শনিবার (২ অক্টোবর) রাজধানীর তেজগাঁওস্থ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে (এফডিসি) অনুষ্ঠিত ‘কিশোর গ্যাং বৃদ্ধির কারণ’ নিয়ে ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় এ কথা বলেন তিনি। ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি এ বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।
তিনি বলেন, যেখানেই কিশোর গ্যাং কালচার রয়েছে সেখানে কিন্তু আমাদের কিশোররা বিপথে পা বাড়াচ্ছে। সামাজিক আচার-আচরণের বাইরে গিয়ে তারা বিচ্যুত পথে যাচ্ছে। আমরা নিশ্চয় মাথা ব্যথার জন্য মাথা কাটা নয়, মাথাব্যথার ঔষধ দিবো। বিচ্ছিন্নতাবোধ থেকে বের হতে হবে। এজন্য দেশে বই পড়া ও খেলাধুলা আমাদের বাড়াতে আহ্বান জানান তিনি।
জনসচেতনতার ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, যেভাবেই হোক কিশোর গ্যাং কালচারকে নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। এটার জন্য দরকার জনসচেতনতা। তরুণ প্রজন্মকে কোনোভাবে আমরা ব্যর্থ হতে দিতে পারি না।
র্যাব মহাপরিচালক বলেন, আমাদের গর্ব পারিবারিক বন্ধন। পারিবারিক বন্ডিং এর কারণে অনেক নেতিবাচক কাজে আমরা জড়াতে পারি না। এরপরও অনেক কিছু ঘটছে। কিশোররা কেন গ্যাং কালচারে জড়াচ্ছে তা খুঁজে বের করতে হবে।
আমাদের সবারই অনেক দায়িত্ব আছে এবং সবার যথাযথ ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, আমরা ২৭২ এর অধিক কিশোর গ্যাং সদস্যকে আটক করেছি। এই কিশোর অপরাধীদের এজন্যই গ্রেফতার করতে হয়েছে, যাতে কিশোর গ্যাং কালচার এবং কিশোর অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
তিনি বলেন, আমাদের তরুণরা যেন গর্বিত নাগরিক হয়, কোন অপরাধে না জড়ায়। তবেই সুন্দর, উন্নত বাংলাদেশ গড়া সম্ভব। আমরা যা করতে পারিনি আমাদের আগামী প্রজন্ম যেন তা করতে পারে। সেজন্য সকলের ঐকান্তিক চেষ্টায় সচেতনতার প্রয়োজন রয়েছে।
এতে সভাপতিত্ব ও বক্তব্য রাখেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।