Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ সোমবার, মে ২০২৫ | ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

সমুদ্র সৈকতে দেশের বৃহৎ প্রতিমা বিসর্জনে লাখো মানুষের ঢল

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৬ অক্টোবর ২০২১, ০৯:৪২ AM
আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০২১, ০৯:৪২ AM

bdmorning Image Preview


লাখো মানুষের অংশগ্রহণে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়েছে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার শেষ দিন বিজয়া দশমীতে সৈকতের লাবনী পয়েন্টে দেবীদুর্গাকে বিসর্জন দেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। 

গেল বছর করোনার মহামারি থাবায় এ উৎসব উল্লেখযোগ্যভাবে পালন করতে পারেনি এ সম্প্রদায়ের মানুষ। যে কারণে এ বছর ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালন করেছে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। তবে হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশাপাশি দেবীদুর্গা বিসর্জনে দেখা গেছে দেশি-বিদেশি পর্যটকসহ সব সম্প্রদায়ের মানুষকে।

শুক্রবার লাবণী পয়েন্টে বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় ৩শ প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয় সাগরের নোনাজলে। শুধু সনাতনী সম্প্রদায় নয়, সব ধর্মের মানুষের ঢল নামে দেশের সর্ববৃহৎ প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠান প্রাঙ্গণে।

ঢোল, তবলা, বাঁশিসহ নানা বাদ্যযন্ত্র নিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে সৈকতে ভিড় জমান সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। তারা একে-অপরকে রং ছিটিয়ে আনন্দ-উল্লাসে মেতে ওঠেন। বর্ষণমুখর বিকেলে সৈকতের লাবণী পয়েন্টের এক কিলোমিটার এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। এ সময় দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা ভ্রমণপিপাসু পর্যটকরাও ভিড় করেন কক্সবাজার সৈকতে। জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে স্থানীয়দের উপস্থিতিও ছিল লক্ষণীয়।

হাজার হাজার মানুষের এই মিলন মেলা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বাংলাদেশের অনন্য প্রতিচ্ছবি আরেকবার ফুটিয়ে তুলল বলে মনে করছেন সৈকতে আসা সব ধর্মের মানুষ।

বিসর্জন অনুষ্ঠানকে ঘিরে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। জেলা পুলিশের পাশাপাশি, বিচকর্মী, ট্যুরিস্ট পুলিশ, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক টিম ও সাদা পোশাকে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।

সৈকতের মুক্ত মঞ্চে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ কক্সবাজার পৌরসভার সহযোগিতায় এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, বিশ্বের দীর্ঘতম সৈকতে প্রতিমা বিসর্জনের এ অনুষ্ঠানটি এ দেশের অন্যতম বড় অনুষ্ঠান। আর এ বিসর্জন অনুষ্ঠানে জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে লাখো মানুষের মিলনমেলা আরও একবার প্রমাণ করে, এ দেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। বর্তমান সরকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর বলেও জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট রনজিত দাশ। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ, পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান, ট্যুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার মো. জিল্লুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান।

উল্লেখ্য, কক্সবাজার জেলায় ৩০৪টি মণ্ডপে অনুষ্ঠিত হয় শারদীয় দুর্গাপূজা। যার মধ্যে ১৪৯টি প্রতিমাপূজা ও ১৫৫টি ঘটপূজা অনুষ্ঠিত হয়। ১১ থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত পূজামণ্ডপগুলোতে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করে জেলা পুলিশ।

Bootstrap Image Preview