সিরাজগঞ্জ শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থিত মঈন উদ্দিন মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় নিলুফা ইয়াসমিন (২৫) নামে এক গর্ভবতী নারীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
নিলুফার ক্ষুব্ধ স্বজনরা হাসপাতালের মালিক ডা. মো. আব্দুল আজিজ সরকারের ছোট ভাই মো. আব্দুল রাজ্জাককে মারধর করেছেন ও হাসপাতালে ভাঙচুর চালিয়েছেন। ঘটনার পর থেকে হাসপাতালের প্রত্যেক স্টাফ ও কর্মকর্তা-কর্মচারী গা ঢাকা দিয়েছেন।
মৃত নারীর নাম নিলুফা ইয়াসমিন (২৫)। গতকাল মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৭টার দিকে হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে তার মৃত্যু হয়। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
নিহত নিলুফা ইয়াসমিন জেলার তাড়াশ উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়নের উত্তর মথুরাপুর গ্রামের শামসুল হোসেনের মেয়ে এবং পেশায় একজন নার্স ছিলেন এবং তার স্বামী নাম মো. রুবেল হোসাইন, তিনি নিজেও একজন ডিপ্লোমা চিকিৎসক।
নিলুফার স্বামী রুবেল বলেন, দুপুরের দিকে স্ত্রীকে নিয়ে এসে ভর্তি করি। সন্ধ্যা ৬টার দিকে তাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রোগী মারা গেছেন বলে হাসপাতালের পক্ষ থেকে আমাদের জানানো হয়।
হাসপাতালের মালিক ডা. আব্দুল আজিজ অপারেশন করতে চেয়েছিলেন জানিয়ে তার স্বামী আরও বলেন, ডাক্তার আজিজ সবকিছু ঠিকঠাক আছে জানিয়েই তাকে অপারেশনের জন্য নিয়ে যান। কিন্তু এখন তাকেসহ হাসপাতালের কোনো স্টাফকেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
অন্যদিকে নিলুফার বড়ভাই আল আমিন বলেন, হাসপাতালে অ্যানেস্থেশিয়ার ডাক্তার আসার আগেই নার্সরা ইনজেকশন দিয়ে আমার বোনকে মেরে ফেলেছে।
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত ডা. আব্দুল আজিজকে তার মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম হীরা বলেন, বিষয়টি আমি মাত্রই অবগত হলাম। এঘটনায় কোনও অভিযোগ পেলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সিরাজগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. রাম পদ রায় বলেন, আমি একটু আগেই বিষয়টি জানলাম। বিষয়টির তদন্ত করে হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ অনুযায়ী কোনেসা সত্যতা মিললে সেই অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মো. গোলাম মোস্তাফা বলেন, এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ এলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।