Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৫ সোমবার, মে ২০২৫ | ২২ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

বিয়ের ৪ দিনের মাথায় চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২ নভেম্বর ২০২১, ১২:৪৪ PM
আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০২১, ১২:৪৪ PM

bdmorning Image Preview


বিয়ে করার ৪ দিনের মাথায় ধর্ষণ মামলায় জেলে যেতে হলো পল্লী চিকিৎসক শাহিন আলীকে (৪০)। আর ওই মামলাটি করেছেন দশ বছর ধরে তার সাথে প্রেম করা প্রেমিকা।

সোমবার দুপুরে পুলিশ তাকে আটক করে জেলহাজতে পাঠিয়ে দিয়েছে। ঘটনাটি নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের ঘোড়াঘাট (গোলাহাট) রেলওয়ে কলোনী মসজিদ সংলগ্ন এলাকার। আটক শাহিন আলী বাবু ওই এলাকার মৃত আজগার আলীর ছেলে।

বয়স পেরিয়ে গেলেও বিয়ে না করায় বাধ্য হয়ে পরিবারের লোকজন একরকম জোর করেই বিয়ে করান তাকে। কিন্তু সেই বিয়ের ৪ দিনের মাথায়ই জেলে যেতে হলো পল্লী চিকিৎসক নতুন ওই বরকে।

মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার থানাপাড়া এলাকার কাশেম আলীর মেয়ে মিনু (৩৫) স্বামীসহ বাস করতেন সৈয়দপুরের ঢেলাপীর উত্তরা আবাসনে।

চিকিৎসাসূত্রে তার পরিচয় হয় পল্লী চিকিৎসক শাহিন বাবুর সাথে। ফার্মেসিতে যাতায়াতের ফলে বাবুর প্ররোচনায় উভয়ের মধ্যে পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সুবাদে বাবুর বিয়ের আশ্বাসে ৭ বছর আগে মিনু আগের স্বামীকে তালাক দেন। এরপর বাবু তাকে ঢাকায় নিয়ে ভরণ-পোষণসহ সার্বিক খরচ বহন করে সেখানে বাসাভাড়া করে রাখেন। বাবু মাঝে মাঝেই ঢাকায় গিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মতো থাকেন। মিনুও সৈয়দপুরে আসলে বাবুর বাসায়ই অবস্থান করেন। এভাবেই চলছিল তাদের সম্পর্ক।

এদিকে বিয়ের জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে চাপ দিলেই তিনি আরো অপেক্ষা করতে বলে সময় ক্ষেপণ করে আসছেন। তবে গত ২৮ অক্টোবর হঠাৎ করেই পারিবারিকভাবে বাড়ির পাশেই এক নারীকে বিয়ে করে ফেলেন বাবু।

এ খবর পেয়ে ৩০ নভেম্বর মিনু সৈয়দপুরে এসে দেখেন শহরের আধুনিক একটি কমিউনিটি সেন্টারে চলছে বাবুর বউভাত। এতে উপস্থিত হয়ে বাবুকে ডেকে নিয়ে মিনু তার সাথে প্রতারণার জবাব চাইলে বাবু বলেন, ‘বিয়ে করলেও তোমার সাথে আগের মতোই সম্পর্ক থাকবে।’

এতে বাধ্য হয়ে মিনু সৈয়দপুর থানায় গিয়ে প্রতারণা ও বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন। এ মামলার প্রেক্ষিতে ১ নভেম্বর সোমবার দুপুরে এসআই তারেক মাহমুদ আসামিকে তার চেম্বার থেকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।

এ ব্যাপারে পল্লী চিকিৎসক শাহীন আলী বাবু জানান, মহিলা আমার রোগী। তিনি স্বামী পরিত্যক্তা ও দরিদ্র অসহায় হওয়ায় প্রায়ই চিকিৎসার পাশাপাশি তাকে আর্থিক সহযোগিতা করতাম। ৭ বছর যাবত মোবাইলে কথা বলা ও দেখা করা ছাড়া অন্য কোন সম্পর্ক নেই। ধর্ষণের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।’

সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আবুল হাসনাত জানান, মহিলার সাথে দীর্ঘ ৭ বছরের সম্পর্ক আটক পল্লী চিকিৎসকের। বাদীর উপযুক্ত তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আসামিকে আটক করে বিকেলে নীলফামারী জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

Bootstrap Image Preview