কক্সবাজারের টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ের রোহিঙ্গা শিবির থেকে কথিত আরসা নেতা মোহাম্মদ হাসিমের মরদেহের খবর পাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছিল পুলিশ। মূলত রোহিঙ্গাদের গণপিঠুনিতে তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছিল। ছবি ও ভিডিও চিত্রও ছড়িয়েছে চারদিকে। কিন্তু বুধবার (০৩ নভেম্বর) দুপুর পর্যন্ত সাড়াশি তল্লাশি চালিয়েও মরদেহটি উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
হাশিম টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের উনছিপ্রাংয়ের ২২ নং ক্যাম্পের মৃত নুরুল আমিনের ছেলে। তিনি কথিত আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) সেকেন্ড ইন কমান্ড ছিলেন। যদিও প্রশাসন আরসার কোনো অস্তিত্ব বাংলাদেশে নেই বলে দাবি করছে।
টেকনাফের হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহমুদুল হাসান লাশ পাওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলের দিকে যাওয়ার তথ্য জানিয়েছিল। তিনি জানান, সারারাত ক্যাম্পে তল্লাশি চলেছে। এখনও চলছে। কিন্তু যে স্থানে লাশটি থাকার কথা সেখানে এসে তা পাওয়া যায়নি।
তিনি আরও জানান, ১৬ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মোহাম্মদ আলীর নেতৃত্বে পুলিশের একাধিক টিম ২২ নং ক্যাম্পে তল্লাশি অব্যাহত রেখেছে। তার তথ্য মতে, কিছু দিন আগে মাহমুদুল করিম নামে এক রোহিঙ্গাকে হত্যার পর তার মরদেহ গায়েব করা হয়। ক্যাম্পটি দুর্গম এলাকায় হওয়ায় ৪৩ দিন পর তার মরদেহ মিলেছিল বলেও জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানিয়েছে, আরসার নাম ব্যবহার করে দীর্ঘ দিন ধরে ক্যাম্পে ত্রাস সৃষ্টি করে আসছিল হাশিম। সে সম্প্রতি রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ড ও মাদরাসায় হামলা চালিয়ে ছয়জন হত্যার অন্যতম হুমকিদাতা। তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত। কিন্তু মরদেহ কোথায় গায়েব করা হয়েছে তার অনুসন্ধান চলছে।