Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৫ সোমবার, মে ২০২৫ | ২২ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

পরকীয়া প্রেমিকসহ সালমাকে গণপিটুনি দিলো পরিবারের সদস্যরা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৮ নভেম্বর ২০২১, ১১:২১ PM
আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০২১, ১১:২১ PM

bdmorning Image Preview
ছবি সংগৃহীত


জন্মনিবন্ধন সনদে বয়স বাড়িয়ে ৮ বছর আগে বাল্যবিয়ে হয়  সালমার (২১)। সেই সংসারে স্বামীর সাথে তুচ্ছ ঘটনার জেরে দুজনেই আলাদা থাকছেন। স্বামী ছাড়া সালমার এক পর্যায়ে  তাদের বাড়ির সামনে স্টিল আলমারি দোকান কর্মচারী যুবক ফয়সালের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। কিন্তু তাদের সেই পরকীয়া প্রেমের কথা জেনে যায় সালমার স্বামীর পরিবার। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন স্বামী, পিতা ও ভগিনীপতিসহ উভয় পরিবারের সদস্যরা। অবশেষে সালমা ও ফয়সাল একসঙ্গে অন্ধকারে কথা বলা অবস্থায় দেখতে পেয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুরের রায়পুর পৌরসভা কার্যালয়ের সামনে উভয়কে গণপিটুনি দেন সালমার স্বামী, পিতা, ভগিনীপতি ও চাচাতো ভাইসহ ১০-১২ জন। 

আহত উভয়কে উদ্ধার করে রায়পুর সরকারি হাসপাতালে নিলে সালমাকে রেখে তার প্রেমিককে সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন কর্তব্যরত ডাক্তার মিঠুন চন্দ্র বণিক। 

আহত সালমা (২১) রায়পুর পৌরসভা কার্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী মনির হোসেনের মেয়ে এবং তার প্রেমিক মো. ফয়সাল (২৬) পৌরসভার দেনায়েতপুর গ্রামের আবদুর রবের বড় ছেলে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সালমার দাবি, ৮ বছর আগে জন্মনিবন্ধনের বয়স বাড়িয়ে তার বাল্যবিয়ে দেয় পরিবার। বিয়ের পর থেকেই তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে তার স্বামী-শাশুড়ি নির্যাতন করত। অবশেষে বিচার না পাওয়ায় বাবার বাড়ি চলে এসে তার পাশেই ভাড়া বাসায় স্বামীকে নিয়ে বসবাস করেন সালমা। 

একদিন মাছ কাটা নিয়ে বিবাদ করে জাতীয় পরিচয়পত্রসহ জামা কেটে নষ্ট করে দেয় তার স্বামী আলমগীর হোসেন। এতে আলমগীর হোসেন সালমার সঙ্গে সব সম্পর্ক বন্ধ করে দেওয়ায় চার বছরের সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে হয় সালমাকে। 

এতে ক্ষোভে ও দুঃখে একপর্যায়ে তাদের বাড়ির সামনে স্টিল আলমারির দোকান কর্মচারী ফয়সালের সঙ্গে পরিচয় ও সম্পর্ক হয়। উভয়ই বিয়ের জন্য কথাবার্তাও চলছিল। এ ঘটনা জানতে পেরে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন স্বামী, পিতা, ভগিনীপতিসহ উভয় পরিবারের সদস্যরা। 

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকায় চাকরির উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় রায়পুর পৌরসভা কার্যালয়ের সামনে প্রেমিকা সালমার সঙ্গে দেখা করতে যান প্রেমিক ফয়সাল। এ সংবাদ পেয়ে সালমা ও তার প্রেমিক ফয়সালকে গণপিটুনি দেন সালমার স্বামী আলমগীর, পিতা মনির, ভগিনীপতি বিল্লাল হোসেন ও চাচাতো ভাই মেহেদিসহ ১০-১২ জন।

এ সময় নগদ ১১ হাজার টাকা ও ১টি দামি মোবাইল নিয়ে যান তারা। পরে আহত সালমা ও তার প্রেমিককে উদ্ধার করে রায়পুর সরকারি হাসপাতালে নিলে সালমাকে রেখে তার প্রেমিককে সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন ডাক্তাররা।

এ ঘটনায় রায়পুর থানার ওসি আবদুল জলিল বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

Bootstrap Image Preview