Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৫ সোমবার, মে ২০২৫ | ২২ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

'মুরগির রক্ত দেখলে আঁতকে উঠতেন' মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ইফতি!

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯ ডিসেম্বর ২০২১, ০১:১১ AM
আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০২১, ০১:১১ AM

bdmorning Image Preview
ছবি সংগৃহীত


বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা মামলায় ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন, বুয়েট ছাত্রলীগের উপসমাজসেবা সম্পাদক ইফতি মোশারফ সকাল। সকাল রাজবাড়ী জেলা শহরের লক্ষিকোল এলাকার মৃত ফকির মোশারফ হোসেনের ছেলে। সকাল বুয়েটের তৃতীয় বর্ষের বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ১৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।

এদিকে, রায় ঘোষণার পর তার বাড়াতে গিয়ে দেখা যায় শুনশান নিরাবতা। ঘরে সকালের ছোট ভাই এসএসসি পরীক্ষার্থী রাফি মোশারফ স্বপ্নিল ছাড়া কেউ ছিলো না। তার মা রাবেয়া মোশারফ অবস্থান করছিলেন ঢাকায়।

এ সময় পাশের বাড়িতে থাকা ইফতি মোশারফের চাচা আব্দুস সালাম ফকির জানান, আদালতের রায় তাদের মনপুত হয়নি। যে কারণে তারা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন। 

তিনি বলেন, 'ইফতি ছোটবেলা থেকেই মেধাবী ছাত্র। এইচএসসি পাস করার পর মেডিক্যল ও বুয়েটে ভর্তির সুযোগ পায়। কাটা ছেড়া করতে হবে ভেবে সে মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হয়নি। মূলত ইফতি মুরগি জবাই করতেও ভয় পায়। যে ছেলে মুরগির রক্ত দেখলে আঁতকে উঠতো সে এমন ঘটনায় জড়িয়ে পরবে তা ভেবে পাচ্ছি না।'

তিনি জানান, ইফতির এই অবস্থা মেনে নিতে পারেননি তার বাবা মোশারফ। যে কারণে ঘটনার কয়েক মাস পর ২০২০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি মোশারফ মারা যান। ওই ঘটনার পর থেকে পুরো পরিবার মানুসিক ভাবে কষ্টের মধ্যে রয়েছে।

Bootstrap Image Preview