সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান বিদেশে যেতে চাইলে সরকার বাধা দেবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
সচিবালয়ে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি সরকারের এ অবস্থানের কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, ‘সদ্যবিদায়ি প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান বিদেশে যাবেন কি না, এটা তার সিদ্ধান্ত। এখানে আমাদের কিছু করার নাই।’
এদিকে বৃহস্পতিবার (০৯ ডিসেম্বর) রাতে কানাডায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে তিনি টিকিট কেটেছেন।
সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইনস সূত্রে জানা গেছে বুধবার (০৮ ডিসেম্বর) তিনি একটি টিকিট কাটেন।
প্রতিমন্ত্রী থাকা অবস্থায় ডা. মুরাদের যে লাল পাসপোর্ট (বিশেষ পাসপোর্ট) ছিল, সেটি পদত্যাগের দিন মঙ্গলবার তার কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে মুরাদ হাসানের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
নারীর প্রতি অবমাননাকর ও অশালীন বক্তব্য এবং ফাঁস হওয়া ফোনালাপে একজন অভিনেত্রীকে ধর্ষণের ইচ্ছাপ্রকাশের অভিযোগে সমালোচনার পর প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন মুরাদ হাসান।
এদিকে মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ ছাড়া অনলাইন প্ল্যাটফর্মসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মুরাদ হাসানের অশ্লীল-কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের ৩৮৭টি লিংক চিহ্নিত করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
মন্ত্রিত্ব হারানো মুরাদ হাসানের নাম তথ্য মন্ত্রণালয়ের নামফলক থেকেও মুছে ফেলা হয়েছে। এ ছাড়া মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইটে থাকা প্রতিমন্ত্রীর তালিকাও তার নামটি বাদ দেওয়া হয়েছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটেও তার নাম নেই।