মো. রাফিউজ্জামান সিফাত: যদি সত্যি কিছু করতে চান, প্রাথমিক ধাপে কক্সবাজার বয়কট করুন। ছয় মাসের জন্য। কেউ যাবেন না। কেউ না। দেশের কোনো পর্যটক আগামী ছয় মাস কক্সবাজার ভ্রমণে যাবেন না। বিলিভ মি পরিস্থিতির খানিকটা সমাধান হবে। মায়ের ভালোবাসা ছাড়া পৃথিবীর আর সব কিছুই অর্থনৈতিক। টাকার ফ্লো বন্ধ করে দিন। কক্সবাজার হোটেল মালিক, রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী, বিচ তদারকির ইজারাদার, পরিচ্ছন্ন কর্মী, ফটোগ্রাফার, পরিবহন শ্রমিক, কক্সবাজারগামী বাস, বিমান সেক্টর, কক্সবাজারের নেতাখেতা, তাদের প্রশাসন ডিরেক্ট সিধা হয়ে যাবে।
করোনার সময় হাতে-পায়ে ধরে ৫০-৭০ শতাংশ ছাড়ে লোক ডেকেছে। একবার পরিবারের নিরাপত্তার ইস্যুতে কক্সবাজার বয়কট করুন। ছয়টা মাস। কেউ কক্সবাজার যাবেন না। কক্সবাজারের হোটেল মালিক নিজে হারিকেন হাতে দাঁড়িয়ে পর্যটকদের নিরাপত্তা দেবে। নিজেদের ব্যবসার স্বার্থে তাদের স্টাফরা রাস্তার মোড়ে মোড়ে দাঁড়িয়ে পর্যটকদের সেফটি নিশ্চিত করবে। কক্সবাজার প্রশাসনকে তারা বাধ্য করবে দায়িত্ব পালনের।
ঢাকা টু কক্সবাজারগামী বাস, প্লেন মালিক, হোটেল সায়মন, টিউলিপ থেকে শুরু করে বিচের চেয়ার ব্যবসায়ী, ঘোড়ার মালিক, বাটপার ফটোগ্রাফার, কলাতলি লাবনির ছোট ছোট দোকানদার সব পাগল হয়ে যাবে। তারাই বাধ্য করবে প্রশাসনকে নিরাপত্তার। আপনার স্ত্রী-সন্তান তাদের হোটেল রুমে কিংবা হোটেলের পাশে একশোবার রেপড হইলে তাদের কোনো বিকার হবে না, কিন্তু এক সিজনে এক লাখ কম পর্যটক হইলে ব্যবসায়ীদের পেছনের লাল সুতা বেরিয়ে যাবে।
ব্যর্থ প্রশাসনকে তারাই তখন বাধ্য করবে প্রশাসনিক দায়িত্বটা ঠিকঠাক পালন করতে। তাদের পেটের নিজেদের তাগিদে তারা আপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। কিন্তু কাজটা এক বা দুজনের করলে হবে না, দলগতভাবে সবার সিদ্ধান্তে আসতে হবে- আমার পরিবারের নিরাপত্তা সবার আগে। আগে আমার নিরাপত্তা নিশ্চিত করো, তারপর আমি তোমার স্থানে আসবো। এর আগে নয়। একবার যদি উদ্যোগটা নেওয়া যায় কেবল কক্সবাজার নয়, অন্যান্য পর্যটন স্পটগুলো একটা সতর্ক বার্তা পেয়ে যাবে। পেটে লাথি পড়লে যতো বড় তালেবর হোক জিহ্বা একহাত বের করে কোঁত কোঁত শব্দ করে। পরিবারের সেফটির জন্য তাদের টাকার ফ্লোতে একটা কষে লাথি লাগাতে পারবেন না।
ফেসবুক থেকে সংগৃহীত।।