ট্রাফিক পুলিশের এক সদস্যের প্রতি প্রচণ্ড রাগান্বিত হয়ে টাকা ছুড়ে মারছেন এক বিদেশি। এমনই একটি ভিডিও সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে ওই বিদেশিকে ট্রাফিক পুলিশকে লক্ষ্য করে বার বার বলতে শোনা যায়, “ইউ ওয়ান্ট মানি, আই গিব ইউ দিস ...মানি (তুমি টাকা চাচ্ছ, আমি তোমাকে টাকা দিচ্ছি)।”
মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) রাজধানীর মহাখালীতে রাওয়া ক্লাবের সামনের সড়কে এক মিনিট ১৮ সেকেন্ডের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, এক বিদেশি নাগরিক ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়েছেন। তিনি বার বার ট্রাফিক পুলিশকে লক্ষ্য করে বলছেন, “ইউ ওয়ান্ট মানি, আই গিব ইউ দিস ...মানি” বলে চিৎকার করে ওই ট্রাফিক পুলিশের সদস্যের দিকে তেড়ে যাচ্ছেন। এ সময় অন্য আরেক ট্রাফিক পুলিশ সদস্য তাকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করছেন।
জানা যায়, ওই বিদেশি চীনের নাগরিক। তিনি একটি তৈরি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। ওই গাড়িটি ছিল তার অফিসের। ১৮ জানুয়ারি ভিডিওটি ধারণ করেন কোনো এক পথচারী।
ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে দেখা যায়, ট্রাফিক পুলিশের ওই সদস্য আত্মপক্ষ সমর্থন করে বলছেন, তিনি যে কাগজ পেয়েছেন তা “ফেইল”। এটা নিয়ে বলতেই তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন। এ সময় ওই গাড়ির চালককে বলতে শোনা যায়, “আপনি আর কথা কইয়েন না, এমনে কেউ ধান্ধা করে?” পরে ওই গাড়িটি বিদেশিকে নিয়ে স্থান ত্যাগ করে।
এ বিষয়ে তেজগাঁও ট্রাফিক বিভাগের উপকমিশনার সাহেদ আল মাসুদ বলেন, “রাওয়া ক্লাবের সামনের সড়কে গাড়িটি থামিয়ে নথি পরীক্ষা করছিল পুলিশ। একজন বিদেশি ছিলেন সেই গাড়িতে। পুলিশ সদস্যরা গাড়ির চালকের সঙ্গে কথা বলছিলেন। নথি পরীক্ষা করার সময় একটু সময় লাগছিল। দেরি হওয়ার কারণে তিনি বিরক্ত হন। তিনি মনে করেছেন, চেক করা হচ্ছে টাকার জন্য। তার সঙ্গে খারাপ ব্যাবহার করা হয়েছে কি-না আমরা চেক করে দেখছি। এখন পর্যন্ত এমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।”
সাহেদ আল মাসুদ আরও বলেন, এই ঘটনাটিতে শুধু পুলিশ নয়, দেশের ভাবমূর্তিও প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছে। এ ঘটনায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। কার সমস্যা ছিল সেটি তদন্ত করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, “বিদেশি নাগরিক হলে গাড়ির কাগজপত্র পরীক্ষা করা যাবে না এমন কোনো কথা নেই। ট্র্যাফিক সার্জেন্টের শরীরে ক্যামেরা ছিল। সবকিছু রেকর্ড হয়েছে। শুধু ভিডিও নয় সবার সঙ্গে যেসব কথা হয়েছে সেটাও রেকর্ড হয়েছে। যদি সার্জেন্ট টাকা চেয়েই থাকে তাহলে তার শাস্তি হবে।”