ঢাকার ধামরাইয়ের মহিষাশী মোহাম্মদীয়া পার্কে এক প্রেমিককে জুতাপেটা করেছেন প্রেমিকা। জানা যায়, প্রেমিকা নবম শ্রেণির ছাত্রী এবং মো. বাবুল হোসেন বাবলু। বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় পার্কের মধ্যে জনসমুক্ষে এ ঘটনা ঘটান প্রেমিকা। এদিকে এ ঘটনার পর প্রেমিক যুগলকে আটক করে সেখানকার ইউপি মেম্বার। স্থানীয় ইউপি মেম্বার মো. আলাউদ্দিন এবং তার সঙ্গী মো. ইমরান হোসেন ও জুয়েল রানার বিরুদ্ধে ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী প্রেমিক যুগল। দুটি বিকাশ নম্বর থেকে ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে ওই প্রেমিক যুগলকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে নিশ্চিত করেছেন ভুক্তভোগী প্রেমিক যুগল ও প্রত্যক্ষদর্শীরা।
প্রেমিক বাবুল হোসেন বলেন, ওই ইউপি মেম্বার আলাউদ্দিন ৫০ হাজার টাকা নিয়ে আমাদের ছেড়েছেন। আমার বন্ধু গান্ধুলিয়া গ্রামের শাকিল আহাম্মেদ দুটি বিকাশ নম্বর থেকে ৫০ হাজার টাকা দিয়েছেন। অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই। আমার অন্য মেয়ের সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়েছে আমি এখন এই মেয়েকে বিয়ে করব কীভাবে। ইউপি মেম্বার আলাউদ্দিন টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, এভাবে জুতাপেটা করতে দেখে এগিয়ে যাই। তারপর তাদের আটক করি। পরে জিজ্ঞাসাবাদ করে ওই প্রেমিক যুগলকে ছেড়ে দেই।
এর আগে প্রেমিকা তার প্রেমিকের গ্রামের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশন করেন। প্রেমিকের পরিবারের লোকজন তাকে বেধড়ক মারধর করে বাড়ির বাইরে রাস্তায় বের করে দিয়েছেন বলে জানা গেছে। এরপরও প্রেমিক তার প্রেমিকাকে বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুর ৩টার দিকে মহিষাশী মোহাম্মাদীয়া পার্কে বেড়াতে নিয়ে যান। এ সময় প্রেমিকা তাকে বিয়ে করার বায়না ধরেন। এতে প্রেমিক বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় প্রেমিকা ক্ষেপে গিয়ে তার পায়ের জুতা খুলে জনসমক্ষেই তাকে জুতাপেটা করেন।
জানা গেছে, উপজেলার গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নের ওই তরুণী সাটুরিয়া উপজেলার মহিষাশীলোহা মাওলানা জাব্বারিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণিতে পড়ালেখা করেন। এ সুবাদে ৫-৬ মাস পূর্বে একই ইউনিয়নের চারিপাড়া গ্রামের মো. জয়নাল আবদীনের ছেলে ফায়ার সার্ভিস কর্মী মো. বাবুল হোসেন বাবলুর সঙ্গে গভীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। বিভিন্ন স্থানে বেড়াতে গিয়ে তারা গোপন অভিসারে মিলিত হন। এদিকে গোপনে প্রেমিক অন্য মেয়েকে বিয়ে করার জন্য কথা পাকাপোক্ত করে আংটিও পরিয়েছেন। প্রেমিকা বলেন, এখন আমাকে বিয়ে না করে অন্য মেয়েকে বিয়ে করার জন্য আংটি পরিয়েছে। আমাকে বিয়ে করবে না তাহলে আমাকে বিভিন্ন জায়গায় বেড়াতে নিয়ে আমার সর্বনাশ করল কেন। আমি এর শেষ দেখে ছাড়ব। বিয়ে আমাকে করতেই হবে। নাহলে আমি ওকে কখনই ছেড়ে দেব না।