‘দুবেলা ভাতের বিনিময়ে পড়াতে চাই’ বগুড়ার সেই আলমগীর কবিরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী জানিয়েছে, আলমগীর কবিরকে চাকরি দেওয়া হবে। তবে কোথায়, কোন পদে চাকরি দেওয়া হবে সেটা এখনও জানা যায়নি।
এর আগে এ বিষয়ে জানতে চাইলে বগুড়া সদর সার্কেলের এডিশনাল এসপি মো. সরাফাত ইসলাম বলেন, বিজ্ঞাপনটি দেখার পরপরই আমরা তার বিষয়ে খোঁজ খবর নেয়ার শুরু করেছি। প্রাথমিকভাবে বিষয়টিকে মানবিক মনে করে তার সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করার চেষ্টা করি। কিন্তু তার মুঠোফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।তার বিষয়ে কেউ বিস্তারিত তথ্য দিতে পারেনি।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেলিম রেজা বলেন, বিজ্ঞাপনদাতা যুবকের এর পেছনে কি উদ্দেশ্য ছিল সেটা জানতে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তিনি কি আসলেই সাহায্য প্রার্থী না কি আলোচনায় আসতে এটা করেছেন এটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তার মুঠোফোন নম্বরটি বন্ধ থাকায় এখন পর্যন্ত তার অবস্থান শনাক্ত করা যায়নি বলে জানান এই কর্মকর্তা। এর আগে বগুড়া শহরের জহুরুলনগরের আশেপাশের এলাকায় প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের গণিত ছাড়া সব বিষয় পড়ানোর জন্য বিজ্ঞাপন দেন আলমগীর। শহরের বিভিন্ন দেয়ালে, ইলেকট্রিক লাইনের খুঁটিতে দেখা যাচ্ছে সাদা এ-ফোর সাইজের কাগজে কালো কালিতে প্রিন্ট করা বিজ্ঞাপনটি।
উল্লেখ্য, আলমগীর কবির নামের ওই যুবক বগুড়ার জহুরুল নগর এলাকার বিভিন্ন জায়গায় ‘শুধুমাত্র দুবেলা ভাতের বিনিময়ে পড়াতে চাই’ প্রথম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত এমন লেখা পোস্টার সাঁটিয়ে দেন। এরপর তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক পেজেও দেন। সেই পোস্টটি ভাইরাল হয়। অন্যদিকে দেশি মিডিয়া ছাড়াও তার পোস্টটি নিয়ে আন্তর্জাতিক মিডিয়াতেও নিউজ করা হয়।