একুশে ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সকাল থেকেই পুষ্পস্তবক ও ভাষা শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন সর্বস্তরের মানুষ৷ বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বাড়ছে বিভিন্ন মানুষের ঢল। কিন্তু স্বাস্থ্য অধিদফতরের যে বিধি-নিষেধ ছিলো তার বালাই নেই বললেই চলে।
স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে বলা হয়েছিল, করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক প্রতিটি সংগঠনের পক্ষ হতে সর্বোচ্চ ৫ জন প্রতিনিধি হিসেবে ও ব্যক্তি পর্যায়ে একসঙ্গে সর্বোচ্চ ২ জন শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে পারবেন। শহীদ মিনারের সব প্রবেশমুখে হাত ধোয়ার জন্য বেসিন ও লিকুইড সাবান রাখা হবে। মাস্ক পরা ছাড়া কাউকে শহীদ মিনার চত্বরে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
কিন্তু স্বাস্থ্য অধিদফতরে যে নির্দেশনা তার বালাই নেই বললেই চলে। দেখা যায়, প্রতিটা সংগঠনের অর্ধশতাধিক থেকে শুরু করে শতাধিক পর্যন্ত প্রতিনিধি পুষ্প অর্পণ করছেন। তাদের সকলেরই প্রায় মাস্ক ছাড়া। দু একজনের মাস্ক থাকলেও তা রয়েছে থুতনির নিচে। আবার দেখা যায়, শ্রদ্ধা নিবেদনের পরে শহীদ মিনার কেন্দ্রে সবাই মিলিত হয়ে ছবি তুলছেন।
ঢাকা মহানগর বিএনপির রমনা থানার একটি ব্যানারে প্রায় শতাধিক কর্মী নিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তাদের প্রায় সকলের মুখেই মাস্ক ছিলো না। দু একজনের মুখে মাস্ক থাকলেও তা ছিল থুতনির নিচে। ওই সংগঠনের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন, একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসছি। কর্মীদের না বললেও তারা চলে এসেছে। কাকে রেখে কাকে বাদ দেব তাই সকলেই চলে আসছি। মাস্ক নেই কেন এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, মাস্ক সকলের পকেটেই রয়েছে। আসলে সবাই শ্রদ্ধা নিবেদন করছে এবং ছবি তুলছে তাই মাস্ক পকেটে রাখা হয়েছে।
একই ভাবে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের একাধিক দলকেও দেখা যাচ্ছে মাস্ক ছাড়া শতাধিক মানুষ পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন করছে।
আজিমপুর থেকে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসা বেলাল আহমেদ সময়ের আলোকে বলেন, আমার ছয় বছরের ছেলে রায়হানকে নিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে এসেছি। মাস্ক আছে আমাদের। রায়হান ছবি তুলতে চেয়েছে বলে মাস্ক খুলে রেখেছিলাম।