রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন কি ক্যানসারের মতো কোনো মরণব্যাধিতে আক্রান্ত? ক্রমেই মাথাচাড়া দিচ্ছে এমন গুঞ্জন। মনে করা হচ্ছে, হয়তো বা স্মৃতিভ্রংশ জাতীয় অসুখেও ভুগছেন তিনি। তেমনই লক্ষণ নাকি দেখা যাচ্ছে পুতিনের ব্যবহারে? পাঁচ দেশের গোয়েন্দা জোট ‘ফাইভ আইজ’ এমনটাই মনে করছে বলে এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে। স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়াচ্ছে এই আশঙ্কাকে ঘিরে।
অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, কানাডা, ব্রিটেন ও আমেরিকা- এই পাঁচটি দেশের গোয়েন্দাদের জোট ‘ফাইভ আইজ’। সেই জোটের দাবি, পুতিনের সাম্প্রতিক ফুটেজ থেকে মনে হচ্ছে, তার শরীরে একটা ফোলা ভাব রয়েছে। এমনকি কিছুটা অস্বাভাবিক আচরণ করতে দেখা যাচ্ছে তাকে। এছাড়া গত পাঁচ বছরের তুলনায় তার সিদ্ধান্তেও বদল দেখা যাচ্ছে। সব মিলিয়ে কিছুটা অসংলগ্ন রুশ প্রেসিডেন্টের আচরণ। দাবি, ক্যানসার জাতীয় কোনো গুরুতর অসুখে ভুগছেন পুতিন। ভুগছেন ডিমেনশিয়া অর্থাৎ স্মৃতিভ্রংশের অসুখে। আর সেই কারণেই তাকে নানা ধরনের স্টেরয়েড নিতে হচ্ছে। এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াতেই নানা সমস্যা দেখা যাচ্ছে। এমনকি এই অসুস্থতার কারণেই শেষ পর্যন্ত ইউক্রেনে হামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পুতিন, এমন দাবিও ওই গোয়েন্দা সংস্থার।
সংবাদ প্রতিদেনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এর আগে একই ধরনের দাবি করতে দেখা গিয়েছিল ব্রিটিশ বিদেশ সচিব লর্ড ডেভিড ওয়েনকেও। তিনি বলেছিলেন, আমার মনে হচ্ছে ওর (পুতিন) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় সমস্যা হচ্ছে। হয় ওকে কোনো ধরনের স্টেরয়েড দেয়া হচ্ছে কোনো রোগের চিকিৎসা হিসেবে। অথবা বডি লিফটিং কিংবা ওয়েট লিফটিংয়ের জন্যও স্টেরয়েড দেয়া হতে পারে।
তিনি দাবি করেছিলেন, এই ধরনের স্টেরয়েড থেকেই কোনো মানুষের আক্রমণাত্মক আচরণ বেড়ে যেতে পারে। সেই একই ধরনের দাবি এবার করতে দেখা গিয়েছে ‘ফাইভ আইজ’কেও।
তবে এখনও পর্যন্ত এই ধরনের দাবি রুশ সংবাদমাধ্যমগুলিকে করতে দেখা যায়নি। দেশটির সরকারি মাধ্যমগুলিও এ বিষয়ে নীরব। তাই আপাতত পুতিনকে ঘিরে এই জল্পনা কেবল জল্পনার স্তরেই রয়ে গিয়েছে।