ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের দুর্গাপুর গ্রামে ইয়াসিন মিয়া (৭) ও মোরসালিন মিয়ার (৪) মৃত্যুর আগে ও পরে তাদের মা রিমা বেগম দুইবার সিম কার্ড পাল্টে ফেলেছেন বলে দাবি করছেন তাদের বাবা মো. ইসমাইল হোসেন সুজন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সমকাল প্রতিবেদকরা দুর্গাপুর গ্রামে নিহত শিশুদের বাড়িতে গেলে তিনি সুজন স্ত্রীর সম্পর্কে এসব কথা জানান।
এর আগে বৃহস্পতিবার ভোরে শিশুদের বাবা ইসমাইল হোসেন সুজন রিমা এবং তার কথিত প্রেমিক সফিউল্লাকে সফুকে দায়ী করে আশুগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
সফিউল্লাহ সফু আশুগঞ্জের খৈয়ালা এলাকার এস আলম অটো রাইস মিলের সর্দার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সেখানে কাজ করতে গিয়েই তার সঙ্গে রিমার ‘পরকীয়া সম্পর্ক’ গড়ে উঠে বলে দাবি করছে পুলিশ।
সুজন সমকালকে বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ যখন আমার ছেলেদের লাশ নিয়ে যাচ্ছিল, তখন আমাদের একটা নাম্বার নিছিল। রবিবার পুলিশ আবার নাম্বার চাইলে রিমা বলে সিম তো পাইতেসি না।’
সিলেটের একটি ইটভাটায় কর্মরত সুজন গত কয়েক মাস আগের একটি ঘটনা স্মরণ করে বলেন, ‘সিলেট যাওয়ার সময় রিমাকে একটা নম্বরটা দিয়েছিলাম। এটা ছিল মায়ের। মাস দুয়েক পর রিমা বলে, নম্বরটা সর্দারে পাল্টায় ফেলেছে। নাম্বার কেন পাল্টাতে হইল, জানতে চাইলে রিমা বলে, কত জনে নাম্বারটা জেনে গেছে। তাই সর্দার আমারে নতুন নাম্বার দিসে।’
সুজন বলেন, পরের সেই সিমটি ছেলেরা মারা যাওয়ার সময়ও ব্যবহার করতেন রিমা। ছেলেরা মারা যাওয়ার সর্দার সফু আনোয়ারা বেগম নামে এক নারীকে দিয়ে সেই সিম কার্ডও নিয়ে গেছে। আমার কেমন সন্দেহ হয়। নানা সূত্রে জানতে পারি, তাদের সম্পর্ক চলতাসে। তাই আমি মামলা দায়ের করছি।
ঘটনার আগে স্ত্রীর আচরণ সন্দেহজনক মনে হয়েছিল কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন. ‘না এমন কিছু মনে হয় নাই কখনও।’