ঢাকার গুলিস্তান থেকে দুই ‘ছিনতাইকারীকে’ ধরার পর থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় তাদেরই ছুরিকাঘাতে তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
বুধবার রাত ১টার দিকে বংশাল থানার নিচেই এ ঘটনা ঘটে বলে বংশাল থানার এসআই আলমগীর হোসেনের ভাষ্য।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে গুলিস্তানে এক ‘দুর্বৃত্তের’ ছুরিকাঘাতে জাহাঙ্গীর মিয়া নামে পুলিশের একজন এসআই আহত হন। পরের রাতেই ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আরও তিন পুলিশের আহত হওয়ার খবর এল।
এসআই আলমগীর হোসেন জানান, গুলিস্তান থেকে জুয়েল ও ইমন নামের দুই ‘ছিনতাইকারীকে’ ধরে থানায় নিয়ে আসছিলেন পুলিশ সদস্যরা।
“থানা ভবনের নিচতলায় পৌঁছানোর পরপরই তারা সঙ্গে থাকা ছুরি দিয়ে পুলিশ কনস্টেবল নজরুল ইসলাম, সজীব ও তাজুল ইসলামকে আঘাত করে। অন্য পুলিশ সদস্যরা এগিয়ে গিয়ে ছিনতাইকারীদের আটকে ফেলে।”
পরে আহত তিন পুলিশ সদস্যকে হাসপাতালে নেওয়া হয় জানিয়ে এসআই আলমগীর বলেন, “কনস্টেবল নজরুল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি। আর কনস্টেবল সজীব ও তাজুল প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ফিরে এসেছেন।”
আটক করার পর ছিনতাইকারীদের তল্লাশি করা হয়েছিল কি না, তাদের কাছে ছুরি কীভাবে থেকে গেল প্রশ্ন করলে এসআই আলমগীর বলেন, “কোনো একটা গাফিলতিতো ছিল। হয়ত ঠিকমত দেহ তল্লাশি না করেই থানার উদ্দেশে তারা রওনা দিয়েছিল এবং নিচে আসার পর ওই দুর্ঘটনা।”
বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তদন্ত করছেন বলেও জানান পুলিশ সদস্য আলমগীর।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে শাহবাগ থানার এসআই জাহাঙ্গীর মিয়া পুলিশের পোশাকে গুলিস্তান এলাকায় হেঁটে যাওয়ার সময় পেছন থেকে এক দুর্বৃত্ত তার ডান পাঁজরে ছুরি মেরে পালিয়ে যায়।